December 19, 2025, 8:25 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম আটক ঝিনাইদহের মহেশপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা বিজিবির অভিযানে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী বাংলাদেশী নাগরিক আটক ও মাদক উদ্ধার মাগুরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সাক্ষাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় দূষিত বাতাসের কারণে বছরে অকালে মারা যাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী  খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবছর বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ৮ জন গত নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত ; আহত ১ হাজার ৩১৭
এইমাত্রপাওয়াঃ

আগামীকাল দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় পুরো রাজধানীকে ৫টি জোনে ভাগ করে অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করতে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করেছে সরকার। মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে রাজধানীতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৩ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব পয়ঃশোধনাগার।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর আফতাব নগরের দাশেরকান্দিতে ৬২ একর জমির ওপর নির্মিত এই পয়ঃশোধনাগার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, পুরো ঢাকার পয়ঃবর্জ্য লাইনের আওতায় আনতে ২০১৩ সালে ঢাকা মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন মহাপরিকল্পনা তৈরি করে ওয়াসা। ঢাকার চারপাশের নদী দূষণ রোধে পাঁচটি শোধনাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে শোধনাগার প্রকল্প নেয় ওয়াসা। দাশেরকান্দি প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৫ সালে। পরে এ প্রকল্পটির জন্য ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে ঋণ কার্যকর হয় ২০১৭ সালের ৮ মে। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু হয়। এতে বৈদেশিক অর্থায়ন করেছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। চীনের একটি ঠিকাদারি কোম্পানি কাজটি করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন করার ব্যবস্থা রয়েছে। পয়ঃশোধনের পর পাওয়া এফ্লুয়েন্ট (দৈনিক ৪০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি) আন্তজার্তিকমান বজায় রেখে গজারিয়া খাল তথা বালু নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। ফলে রামপুরা খালসহ বালু নদী ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানির মানের উন্নতি হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার রমনা থানার অন্তর্গত এলাকা মগবাজার, ওয়্যারলেস রোড, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, মহানগর হাউজিং এলাকা, কলাবাগান, ধানমন্ডি (পূর্বাংশ), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও এলাকা, নাখালপাড়া, গুলশান, বনানী, বাড্ডা, আফতাবনগর, নিকেতন, সাঁতারকুল এবং হাতিরঝিল এলাকার সৃষ্ট পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার মাধ্যমে পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধ করা হবে। এছাড়া সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-১ ও ফেজ-২ এর ইনটেক পয়েন্ট শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণ কমানো সম্ভব হবে। আর পাগলার পয়ঃশোধনাগার (কলাবাগান, মগবাজার, শাহবাগ, ইস্কাটন, আরামবাগ, পল্টন, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, রামপুরা, তালতলা, বাসাবো, গোলাপবাগ, আহমেদবাগ, শহীদবাগ, গোরান, বেগুনবাড়ি, খিলগাঁও, পশ্চিম নন্দীপাড়া) এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উদ্বোধনের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানাব, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারটি প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। একই দিনে পাগলার পয়ঃশোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

সরকারের মাস্টার প্ল্যানে ঢাকা মহানগরীকে ৫টি (পাগলা, দাশেরকান্দি, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর) ক্যাচমেন্টে বিভক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে নগরবাসীর শতভাগ উন্নত ও টেকসই পয়ঃসেবা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

তাকসিম এ খান বলেন, হাতিরঝিলের পানি যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা কয়েকটি ডাইভারশন লাইন করে দিয়েছি। গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, পান্থপথ, মগবাজার, মালিবাগ, মধুবাগ এসব জায়গার পয়ঃগুলো হাতিরঝিলে যেতো। সেটা বন্ধ করার জন্য আমরা একটা ডাইভারশন লাইন করে দিয়েছি।

রায়েরবাজার সুয়ারেজ স্টেটমেন্ট প্ল্যান্টের অগ্রগতির বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ করা। এই কাজটা আমাদের এগিয়েছে। উত্তরা সুয়ারেজ শোধনাগারের জমির অধিগ্রহণ করা প্রায় চূড়ান্ত। মিরপুর সুয়ারেজ স্টেটমেন্ট এর কাজ এগিয়ে চলছে। এটার ডিজাইন ড্রয়িং হয়েছে, ফাইনাল হয়নি।

তিনি বলেন, দাসেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার পাঁচটি মাস্টার প্ল্যানের একটি। চায়না যতগুলো সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট করেছে তার মধ্যে এটা বেস্ট। এটার কর্মকাণ্ড উচ্চমানের হয়েছে।

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহসিন আলী বলেন, এটা হাতিরঝিল সমন্বিত একটি প্রকল্প অংশ। হাতিরঝিল করার সময় এই প্রকল্পের ডাইভারশন লাইন করা হয়েছে। সেই ডাইভারশন লাইন দিয়ে রামপুরা খালে পয়ঃবর্জ্য ফেলা হতো। হাতিরঝিলকে বাঁচানোর জন্যই রামপুরা খালে ফেলানো হতো, যে কারণে পরিবেশ দূষিত হয়। এখান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টন ছাই পাওয়া যায়। এই ছাই যখন আমরা প্রসেসিং করি তখন ১০ শতাংশের মতো হয়। যা ৪৫-৫০ টন হয়। এই ছাঁইটা আমরা সিমেন্ট কোম্পানিকে দেই। আমরা প্রতি তিন মাস পরপর ভারতীয় একটি কোম্পানি দিয়ে বিষয়টি চেক করে থাকি। প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব।’

 

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page