অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্ব রাজনীতিতে একা হয়ে পড়া আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীন। নিরাপত্তার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে ইসলামাবাদ ও বেইজিং-এর সঙ্গে আলোচনা করেছে কাবুল।
বিরল এক সফরে শনিবার ইসলামাবাদ যান আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কোনও দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ওপর আফগানিস্তান ত্যাগে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও ছিল। তবে শনিবার ইসলামাবাদ সফরের জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করা যায় তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে বৈঠকে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আফগান কর্তৃপক্ষের কাছে ধারাবাহিকভাবে আমাদের বার্তা ছিল- ‘আমাদের সাহায্য করুন, আমরাও আপনাদের সাহায্য করবো’।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেছেন, বেইজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়ই আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি যে তালেবান অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ও মধ্যপন্থী নীতি গ্রহণ করবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে’।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চীন এবং পাকিস্তান। বেইজিং তাদের ক্ষুদ্র অংশীদারি সীমান্তজুড়ে থাকা বিপুল অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের দিকে নজর রাখে। অন্যদিকে ইসলামাবাদ তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক। সূত্র: টিআরটি
Leave a Reply