অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তালেবানের প্রায় ৪ বছরের শাসনামলে ধস নেমেছে দেশটির অর্থনীতিতে। জলবায়ু সংকটে বিলীন হয়েছে কৃষিজমি ও আবাসস্থল। এ অবস্থায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ হলে চরম বিপর্যয়ে পড়বে আফগানিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে প্রতি তিনজনের একজন চরম খাদ্য সংকটের মুখে আছে।
আফগানিস্তানের ডব্লিউএফপির পরিচালক হসিয়াও-ওই লি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে সহায়তা কমানোর চিন্তাভাবনা সত্যিই উদ্বেগজনক। ডব্লিউএফপি বা অন্য কোনও পক্ষ থেকে যে সহায়তা তারা পাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের আগে জনগণ ও জনগণের চাহিদার কথা সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।’
চলতি শীত মৌসুমে মাত্র ৬০ লাখ মানুষকে সহায়তা দিতে পেরেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। তহবিলের অভাবে সংকটে পড়েছে ৮০ লাখের বেশি মানুষ। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জন্য দরকার আরও ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার।
একই সময়ে, জলবায়ু সংকটে নষ্ট হয়েছে আফগানদের খামার, কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি। বছরের পর বছর খরা ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে লাখ লাখ বাসিন্দা। মৌলিক পুষ্টি জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক পরিবার।
এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য বিদেশি সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ আফগানিস্তানে বিপর্যয় ডেকে আনবে। ৪ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এছাড়া তালেবানরা আফগান মহিলাদের এনজিওতে কাজ করা নিষিদ্ধ করেছে।
নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জ্যান এগেল্যান্ড বলেন, ‘আগামী ৩ মাস অন্যান্য দেশের মতো আফগানিস্তানও নতুন করে অনুদান ও তহবিল পাবে না। চলমান সহায়তা পেয়েও দেশটি ভুগছে খাদ্য সংকটে। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে অতি দরিদ্র, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকের তাৎক্ষণিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’
Leave a Reply