23 Feb 2025, 12:42 pm

আয়রল্যান্ডের  কিছু নির্জন জায়গার বাসিন্দা হলেই সেদেশের সরকার দিবে ৭১ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এমন যদি কোনও দেশে যাওয়ার সুযোগ পান, যেখানে গেলে খরচ নয়, উলটে বরং মোটা অংকের টাকা আয় হতে পারে তাহলে? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই এক দেশ রয়েছে যেখানকার বাসিন্দা হলেই টাকা দেবে সেদেশের সরকার। যাবেন নাকি সেখানে?

পৃথিবীর মানচিত্রে এমনই এক দেশের হদিশ মিলেছে যেখানে থাকতে শুরু করলে আপনি পেয়ে যাবেন বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। নয় নয় করে এক্কেবারে ৭১ লাখ টাকা পাবেন সেই দেশের নতুন বাসিন্দারা। আয়ারল্যান্ড সরকারই এই প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আয়ারল্যান্ডের কিছু নির্জন জায়গায় থাকার জন্য আর্থিক সাহায্য করবে আয়ারল্যান্ড সরকারের। ইতিমধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।

বাসিন্দা হওয়ার জন্য কেনই বা টাকা দিচ্ছে আয়ারল্যান্ড? ইউরোপ মহাদেশের বরফে ঢাকা এক ছোট্টো দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের সেই দ্বীপ রাষ্ট্রের লোকসংখ্যা তুলনামূলক খুবই কম। তাই জনসংখ্যা বাড়াতে চায় সেদেশের সরকার। ‘আওয়ার লিভিং আইল্যান্ডস’ নীতির অংশ হিসাবে আয়ারল্যান্ডের কিছু নির্জন জায়গায় থাকার জন্য সেদেশের সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে ।

আয়ারল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, এই নীতির উদ্দেশ্য হল বিক্ষিপ্তভাবে জনবসতিপূর্ণ বা নির্জন দ্বীপগুলিতে জনবসতি গড়ে তোলা। সংশ্লিষ্ট নীতির আওতাধীন রয়েছে ৩০ টি দ্বীপ। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন সংশ্লিষ্ট দ্বীপগুলিতে বসবাসকারীরা যেন সেখানকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশের সম্বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা নিতে পারে তাই লক্ষ্য নিয়েছে সেদেশের সরকার৷ যার জন্য আয়ারল্যান্ড সরকার নতুন বাসিন্দাদের ৮০ হাজার ইউরো অর্থাৎ মোট ৭১ লাখ টাকা দেবে। গত ১ জুলাই থেকে এক্ষেত্রে শুরু হয়ে গিয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া।

আয়ারল্যান্ডের নতুন বাসিন্দাদের প্রথমে ৩০টি দ্বীপের একটি সম্পত্তি কিনতে হবে।
সম্পত্তি এমন হতে হবে যা আয়ারল্যান্ডের ‘অফশোর’ দ্বীপগুলিতে ১৯৯৩ সালের আগে নির্মিত হয়েছিল এবং গত দুই বছর ধরে খালি পড়ে রয়েছে।

সরকারের দেওয়া ৭১ লাখ টাকা নতুন সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সেই টাকা ক্রেতাদের বাড়ি ঠিক করতে বা বাড়াতে ব্যবহার করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *