অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে ৩২ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। শনিবার ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা দানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি, ক্রমাগত রুশ হামলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে দেশটির প্রকৌশলীরা বড় বড় শহরগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডসমূহ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে দেশটিতে শীত আসন্ন হওয়ায় জনগণের স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, “এখনও ৬০ লাখেরও বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ নেই। এই শীত আমাদের সহ্য করতে হবে। এই শীতকালকে সকলেই মনে রাখবে।”
দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ইউক্রেনেরগো বলেছে, জাতীয় গ্রীডে এখনও ৩০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে প্রকৌশলীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে ।
খেরসনের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ইয়ারভস্লাভ ইয়ানুশোভিচ বলেছেন, রুশ হামলাকারীরা একটি আবাসিক এলাকায় কয়েকটি রকেট ছুঁড়েছে। এ সময়ে বড় একটি ভবনে আগুন ধরে যায়।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার সমালোচনায় মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, তারা কেবল সামরিক সংযুক্ত অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনে চলা ব্ল্যাকআউটের জন্যেও রাশিয়া কিয়েভকে দায়ী করেছে। একইসঙ্গে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন রুশ দাবির প্রতি সম্মতি জানিয়ে ইউক্রেনবাসীর দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে পারে।
দুই সপ্তাহ আগে মস্কোপন্থি বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার গোলাবর্ষণ শুরু হয়।
রাশিয়ান বাহিনী প্রায় নয় মাস দখলে রাখার গত ১১ নভেম্বর খেরসন শহর থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে। রুশ বাহিনী এখন ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান করছে, যেখান থেকে তারা শহরটিতে নিয়মিত গোলাবর্ষণ করে চলেছে।
Leave a Reply