অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনীয় সেনাদের পোশাক পরে রয়েছেন তিনি। ভাবছেন, ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি বিধ্বস্ত অর্থোডক্স মঠের কথা। ‘এটি পুতিনের যুদ্ধের ফল’—তীব্র ক্ষোভ নিয়ে বললেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে আরও বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় ধর্মের অনুসারী হিসেবে এটি আমার জন্য অনেক আপত্তিকর।’
বর্তমানে দোনেৎস্কের বাখমুত শহর যুদ্ধের মূল কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। আর এ শহর রক্ষায় যারা এখনো যুদ্ধের ময়দানে রয়েছেন, তাদের মধ্যে সিজার একজন। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তাকে ‘সিজার’ হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সিজারের মধ্যে এমন একটি ভাবনা রয়েছে, যেটি অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করে। আর তা হলো তিনি একজন রুশ নাগরিক। তিনি ছাড়া আরও কিছু রুশ নাগরিক ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধের মাঠে রয়েছেন। সিজার বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই একজন সত্যিকারের খ্রিষ্টান, সত্যিকারের রুশ নাগরিক হিসেবে মন থেকে সাড়া পেয়েছিলাম যে ইউক্রেনের জনগণকে রক্ষায় আমাকে এখানে থাকতে হবে।’
সিজার আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে সেনাদের সংঘবদ্ধ করার পর পুতিন তার সব বাহিনীকে বাখমুতে মোতায়েন করেন। কিন্তু আমরা ভয়ংকরভাবে প্রতিরক্ষামূলক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
‘ইউক্রেনের সেনারা এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এ যুদ্ধ এখন অনেক নৃশংস হয়ে উঠেছে’, বলেন সিজার।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের দোনেৎস্কে রুশ সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনের সেনাদের। দক্ষিণাঞ্চলে খেরসন শহর লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক, মর্টার ও কামান থেকে অনবরত গোলা ছুড়ছে রুশ সেনারা। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারাও। এ ছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনারা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে।
বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কে রাশিয়ার বাহিনীগুলো আরও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে এবং বাখমুত ও নিকটবর্তী সোলেদার, ওপুয়েৎনেতসহ বেশ কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার বাহিনীগুলো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে তারা।
Leave a Reply