অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সার্বিয়াকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চায় না কি রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রবেশ করতে চায়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বার্লিনে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে ছয়টি পশ্চিম বলকান রাষ্ট্রের আলোচনার দুই দিন আগে সার্বিয়াকে এ শর্ত দেয় জার্মানি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গে জার্মান সরকারের একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা মাথায় আসছে’।
দুই দশক আগে বেলগ্রেডে ন্যাটোর বোমা হামলা দেশটির পক্ষে কখনও ভোলা সম্ভব নয়। ফলে ন্যাটোর ওপর সার্বিয়ারও একটি অবিশ্বাস কাজ করে। কিন্তু এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চায় তারা। দেশটির রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার বুচিচের ওপর পুতিন নির্ভর করতে পারেন। বুচিচকে তার প্রতিপক্ষরা ‘ছোট পুতিন’ হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকে। রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং স্লাভিক জাতিগত ও ধর্মীয় সম্পর্কও বিদ্যমান।
জার্মানির ওই প্রতিনিধি আরও বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে সার্বিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তির কারণে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যোগদানে ইচ্ছুক প্রার্থীদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞাগুলো গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
সার্বিয়া, ২০১২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রার্থী। তবে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে নিয়মিত পররাষ্ট্র নীতি সক্রিয় রেখেছে দেশটি। এই পদক্ষেপটির কঠোর সমালোচনা করছে ইইউ।
তিনি আরও বলেন, একজনের ধারণা ছিল যে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুচিচ তার পেন্ডুলাম অবস্থান সম্পর্কে ভালভাবে অবগত। তিনি যদি তার দেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশে নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তবে তাতে জার্মান সরকারের সমর্থন আছে। যদি অন্য পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এর বিপরীতে পরিণতি এসে দাঁড়াবে। সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply