অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত, ওয়াক্ফ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতন কাঠামো করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের একাদশ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কার্য-অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, আমরা মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫ করার কাজে হাত দিয়েছি। ২০২৫ সালের নিরিখে তাদের জন্য একটা পে-স্কেল (বেতন কাঠামো) করা যায় কি না, এটাও আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। তাহলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত, ওয়াক্ফ নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোতে ইউনিফাইড পে-স্কেল কার্যকর করতে পারব। আর বেসরকারি মসজিদগুলোতে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে যে মসজিদগুলো অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল তারা যাতে এই পে-স্কেল কার্যকর করে, আর করতে না পারলে ধীরে ধীরে যাতে সামনে এগিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অনেক দেবোত্তর সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে। এগুলো মানুষ দখল করে নিয়েছে। আমরা মতিঝিলে একটা দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার করেছি। সেখানে আমরা বহুতল ভবন নির্মাণ করবো, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে।
শতশত ওয়াক্ফ স্টেট সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে, আমরা এগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসকদের আমরা নির্দেশ দিয়েছি, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা গেলে যাতে তারা বাস্তবায়ন করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হাইকোর্টে একটা স্বতন্ত্র বেঞ্চ করব। এ বিষয়ে আমি আইন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করি একটা স্বতন্ত্র বেঞ্চ হবে, ওয়াক্ফ মামলাগুলোর ওখানে শুনানি হবে। তাহলে যারা এই মামলাগুলো করে বছরের পর বছর ধরে ওয়াক্ফ সম্পত্তি খাচ্ছে এদের হাত থেকে সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারবো।
খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের সব কাজ জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তাতে কল্যাণমুখী বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ আমরা গড়তে পারি। সেই সহযোগিতা জেলা প্রশাসকদের কাছে চেয়েছি।
Leave a Reply