বিমানবন্দরে ইরানের প্রখ্যাত ক্বারী হামেদ শাকের নেজাদকে স্বাগত জানান শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম পূর্ব চত্বরে শুরু হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন ২০২৫’। আজ (বৃহস্পতিবার) জোহরের নামাযের পর শুরু হওয়া এই মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কুরআনপ্রেমীদের মাঝে ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ইরানের বিশ্বখ্যাত কয়েকজন আন্তর্জাতিক ক্বারী। তাদের আগমনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল উষ্ণ অভ্যর্থনা। বিমানবন্দরে তাঁদেরকে অভ্যর্থনা জানান আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী এবং ইরান কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ, দফতর সম্পাদক মাওলানা নোমান তাফহীম প্রমুখ।

(বামে) ইরানের শিশু ক্বারী রেজা পুরসাফার (ডানে) ক্বারী আহমদ আবুল কাসেমী
ইরানের যেসব ক্বারী ঢাকায় পৌঁছেছেন তারা হলেন- ক্বারী হামেদ শাকেরনেজাদ, ক্বারী আহমদ আবুল কাসেমী, ক্বারী সাইয়্যেদ জাসেম মুসাভী এবং শিশু ক্বারী রেজা পুরসাফার। এই ক্বারীগণ ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি’র তিন নম্বর টেলিভিশন চ্যানেলের মাহফিল অনুষ্ঠানের পরিচিত মুখ।

ইরান কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী (বামে)
ক্বিরাত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে আজ আসরের নামাযের পর, চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন—বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা উস্তাদ আ ফ ম খালিদ হোসাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইশরাফ হোসেন
সম্মেলনে মিশরের ক্বারী শায়েখ উসামা আল হাওয়ারী, পাকিস্তানের ক্বারী উবায়দুর রহমান আযমী, ভারতের রাজস্থানের ক্বারী হেদায়েত উল্লাহ ।

ইরানি ক্বারি সাইয়্যেদ জাসেম মুসাভীকে স্বাগত জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তাবৃন্দ
উদ্বোধন করবেন আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর সভাপতি আল্লামা ক্বারী আবু রায়হান। সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
সম্মেলনে আগত নারীদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) মিলনায়তনে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ক্বিরাত অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশে ক্বিরাত চর্চা, আন্তর্জাতিক ক্বারীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং তরুণ প্রজন্মকে কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি উৎসাহিত করা—এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে আয়োজনকরা জানিয়েছেন।