অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভকারীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন তেহরানের আদালত। এছাড়াও আরও পাঁচজনের কারাদণ্ড হয়েছে। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তেহরানের আদালত রোববার (১৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভকারী দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। সেই বিক্ষোভের সঙ্গেই জড়িত ছিল শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি।
মিজান অনলাইন জানিয়েছে, এই কঠোর শাস্তি দেয়ার কারণ হিসেবে আদালতের যুক্তি হলো, বিক্ষোভকারী সরকারি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য সে দায়ী। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তেও সে সামিল ছিল। সে ঈশ্বরের শত্রু।
ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, আরেকটি তেহরান আদালত বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পাঁচজনকে পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিরোধী কাজ করেছে বলে এই শাস্তি।
রোববারই তিনটি এলাকার কয়েকশ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইরানে এখনো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। মেয়েরা রাস্তায় নেমে নারী স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।
১৯৭৯ সালের পর থেকে সম্ভবত এতো প্রবল বিক্ষোভ দেখেনি ইরান। কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। ১৫ হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। তারপরেও বিক্ষোভ থামেনি। এদিকে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেছে।
Leave a Reply