অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আরবাইন অভিযানে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর উপর লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর ব্যাপক হামলার কথা উল্লেখ করে ইরানের ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বলেছেন, যেমনটা স্পষ্ট ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর মারাত্মক আঘাত হানা হয়েছিল এবং তারা আরবাইন অভিযানের ফলাফল গোপন করেছিল।
ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে সরদার আহমাদি মোগাদাম বলেছেন, এ বিষয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের একটি সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া হবে। পার্সটুডে জানাচ্ছে যে ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্র ও পরিবেশ পরিবর্তন এবং জটিল সমীকরণের ভিত্তিত হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিশোধ এবং পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াও আমাদের অবশ্যই শত্রুর মাধ্যমে সাজানো যুদ্ধ ক্ষেত্রের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে সাবধান হতে হবে।
ইরানের মেহের পত্রিকার বর্ণনা অনুসারে, সরদার আহমাদি মোগাদাম আরবাইন অভিযানের সময় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর উপর লেবাননের হিজবুল্লাহর ব্যাপক আক্রমণের কথা উল্লেখ করে বলেন: যেমনটি পরিষ্কার ইহুদিবাদী শাসককে একটি মারাত্মক আঘাত করা হয়েছিল এবং তারা আরবাইন অভিযানের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিগুলো গোপন করেছিল।
ইহুদিবাদী শাসককে উদ্বেগের মধ্যে রাখা সামরিক হামলার চেয়ে কম নয় উল্লেখ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্ষেত্র এবং কৌশলগত আন্দোলনের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পরিণতি রয়েছে যা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর জন্য নেতিবাচক এবং এটি সামরিক নয়।
পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে গত ২৫ আগস্ট হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিরোধ সংগঠনটি ইসরাইলের ১১টি সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি তেল আবিবের উত্তরে দুটি প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে ২৪০টি কাতিউশা রকেট এবং ড্রোন দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে ইরানের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১০ আগস্ট তেহরানে এসে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ একটি বাসভবনে শহীদ হয়েছিলেন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই অপরাধযজ্ঞের পর ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী এক বার্তায় জোর দিয়ে বলেছেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।
Leave a Reply