July 29, 2025, 9:31 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিয়ে হওয়ায় স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক ২০২৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন আহ্বান আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি জাল ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পে মালয়েশিয়ায় প্রবেশচেষ্টার দায়ে ১৫ বাংলাদেশি আটক অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ আগামী বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি ; ৪ দিন পর ৯ জেলে উদ্ধার ; এখনও নিখোঁজ ৬ জন ঝিনাইদহে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ    সাতক্ষীরায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রচারণা 
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজার আসতে শুরু করেছে পর্যটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নীরবতা ভেঙেছে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে। ঈদের দিন দুপুর থেকে স্থানীয় পর্যটকেরা সৈকতমুখী হয়েছেন। আজ থেকে আসছেন বাইরের জেলার ভ্রমণপ্রেমীরা।

রমজান মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছিল প্রায় সুনসান নীরবতা। হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো কক্ষভাড়ায় ছাড় দিয়েও অতিথি পায়নি। বন্ধ ছিল পর্যটকনির্ভর রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা। সেই নীরবতা ভেঙেছে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে। ঈদের দিন দুপুর থেকে স্থানীয় পর্যটকেরা সৈকতমুখী হয়েছেন। পর্যটকদের বরণ করে নিতে ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররাও নব উদ্যমে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ঈদের ৯ দিনের লম্বা ছুটিতে চাকরিজীবীদের বড় একটি অংশ সপরিবারে বেড়াতে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আর লম্বা ছুটি বা বিশেষ দিনে ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরই পছন্দের জায়গা কক্সবাজার। এখানে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পাহাড়, নদী, ছড়া, ঝিরি-ঝরনাসহ প্রকৃতির অপরূপ সব সৌন্দর্য দেখার সুযোগ রয়েছে।

হোটেল-মোটেল মালিকেরা জানান, রমজান মাসের আগের চার মাসে বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন। প্রতি সপ্তাহে গড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ পর্যটক এসেছিলেন। আর গত বছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অন্তত ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। এবার অনেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনলাইন বা ফোনে যোগাযোগ করে কক্ষ বুকিং দিয়েছেন। ২ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। কক্সবাজার শহর ও মেরিন ড্রাইভের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘বাইরের পর্যটকেরা ঈদের পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারমুখী হবেন। পর্যটকেরা ভ্রমণে এসে যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন এর জন্য অনলাইনে হোটেল বুকিং দিয়ে এলেই সবচেয়ে ভালো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সমুদ্রসৈকত ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপর রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পর্যটকেরা এসে যাতে ভালো সেবা পান এর জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ, অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রানি রোধ এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতে ও আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবে। কোনো অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page