অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, ‘দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।’
শনিবার ঢাকার বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে জজদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ট্রাইব্যুনালে বিচারে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা।
জামায়াতের বিচার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে শাস্তি কার্যকর করেছে।’
‘তাই দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই। দলটির বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ২০১৩ সালে আদালত রায় দেয়। এরপর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না।’
এসময় বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জুডিসিয়াল ডিসিশন বা সব্বোর্চ আদালতের রায়, সিন্ধান্ত মেনে চলে মামলাজট নিরসনে ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্য যেকোন সরকারের চেয়ে বিচার বিভাগের জন্য বাজেট বাড়ানো হয়েছে।’
‘বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন জজদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করা।’
বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।