অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর অবস্থান ভালোভাবে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও মস্কো একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হওয়ার পর রাশিয়া এ ঘোষণা দিল।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তার রুশ সমকক্ষ সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
রিয়াদ বৈঠকের পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, “আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি একথা জোর দিয়ে বলতে পারি যে, আমেরিকা ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান বুঝতে শুরু করেছে।”
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি ওয়াশিংটনকে একথা জানিয়েছেন যে, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ সেনা পাঠাতে পারবে না; সেই সেনা কোনো দেশের প্রতিনিধিত্ব করুক অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো হোক। ল্যাভরভ বলেন, এ বিষয়টি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে দাবি করেন ল্যাভরভ।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে মার্কো রুবিও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও মস্কো যৌথভাবে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন করবে। তিনি বলেন, রিয়াদ বৈঠক ছিল একটি দীর্ঘ সংলাপের শুরু এবং এ ব্যাপারে আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে রিয়াদে মঙ্গলবার যে বৈঠক হয় তাতে ইউক্রেনকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল কিয়েভ। কিন্তু ওয়াশিংটন তাতে সাড়া দেয়নি। এছাড়া, ইউক্রেনে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করে ল্যাভরভ বক্তব্য দিলেও দু’দিন আগে ইউক্রেনে হাজার হাজার ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাসেলস।
Leave a Reply