অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার পর মসজিদে মসজিদে ডাকাত আতঙ্কে মাইকিং শুরু হয়। মাইকিং শুনে বেরিয়ে ডাকাত সন্দেহে তিন যুবককে আটক করে মারধর করে স্থানীয়রা। এতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগর উপজেলার ধারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গণপিটুনির পর তিন জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দুই জনের লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহত একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মুরাদনগরের ধারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা ও কাজীয়াতল গ্রামে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর ধারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে মসজিদে মাইকিং শুরু হয়। এরপর পাশের এলাকায় মাহফিল চলাকালে মাহফিলের মাইক থেকে মাইকিং করে স্থানীয়রা। পরে তা পুরো উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ডাকাত প্রতিরোধে প্রত্যেক ঘরবাড়ি থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করে স্থানীয়রা। পরে পালাসুতা গ্রামে তিন যুবককে আটক করে ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনি দেয় লোকজন। তবে অনেকেই ডাকাতির আতঙ্ককে গুজব বলেও জানিয়েছেন।
Leave a Reply