October 11, 2025, 10:11 am
শিরোনামঃ
যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরছেন ৩০৯ বাংলাদেশি শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্তির চেষ্টা করছে সরকার ফরিদপুরে মসজিদের চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে আহত ২০ জন গাজীপুরে প্রধান সড়কে উঠতে বাধা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটালেন অটোরিকশা চালক শিশু শান্তি নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সাতক্ষীরার সুদীপ্ত ওবামা কিছু না করেই নোবেল পেয়েছেন : ট্রাম্প গাজা জিম্মি মুক্তি চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান পুতিনের ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল ও ভায়াগ্রা উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

গাজায় গণহত্যা ; কাপুরুষ ইসরাইল ও তার দোসরদের পরাজয় আড়াল করার অপকৌশল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক হামলা পুরোদমে অব্যাহত রয়েছে। নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির লাশ। আহত শিশুদের আত্মচিৎকারে গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত। দখলদার ইসরাইল যেন ভুলেই গেছে- নিরস্ত্র ও অসহায় জনগণকে হত্যার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, এটা কেবলি কাপুরুষতা।

আর এই কাপুরুষোচিত হামলায় সরাসরি সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপ। প্রকাশ্যে গাজার উপর দিয়ে ড্রোন পরিচালনা করেছে মার্কিন বাহিনী। ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি হামলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকা এরিমধ্যে বিমানে করে দখলদার ইসরাইলে বাঙ্কার বিধ্বংসী ও গুচ্ছ বোমা নিয়ে এসেছে। মার্কিন নেতারা সুস্পষ্ট করেই বলছেন, তারা ইসরাইলকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবেন। মার্কিন এসব কর্মকাণ্ডও প্রমাণ করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী কতটা দুর্বল, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনের মতো ছোট ছোট সামরিক শক্তির সঙ্গেও তারা পেরে উঠছে না। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যাপক মার খাচ্ছে দখলদার বাহিনী।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে এবং তাদের দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। আমেরিকা কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে এখন সান্ত্বনা দিতে চাইছে, তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে চাইছে। আমেরিকা বলতে চাইছে- আমেরিকার মতো বিশাল এক শক্তি তাদের পাশে রয়েছে এবং তারা যেন হতাশ না হয়। আমেরিকার এসব সান্ত্বনা বা পদক্ষেপ আহামরি কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে ইরানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সায়াদাউল্লাহ জারেয়ি বলেছেন, যে আমেরিকা ইসরাইলিদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছে সেই আমেরিকা দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে বেঁচেছে। তারা কয়েক বছর আগে ইরাক থেকে সব সেনাকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্য পরবর্তীতে কিছু সেনাকে আবার ইরাকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এই আমেরিকা ইরাকে এসেছিল স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। তারা দুই লাখ সেনা এনেছিল সেখানে। কিন্তু সেনাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। যে আমেরিকা ইসরাইলকে উৎসাহ দিচ্ছে সেই আমেরিকার ঘাঁটিগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার শিকার হচ্ছে। তারা নিজেদের সেনাদেরকে রক্ষা করতে পারছে না, ঘাঁটিগুলোতে হামলা বন্ধ করতে পারছে না।

কাজেই মার্কিন সমর্থন নিয়েও ইসরাইলের পক্ষে গাজায় বড় কোনো সামরিক বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। আর এটা জেনেই বর্বর ইসরাইলি বাহিনী গাজার বেসামরিক মানুষদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে কাপুরুষোচিত উপায়ে নিজেদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাইছে, পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলতে চাইছে। কিন্তু এটা কোনো দিনই সম্ভব হবে না।

আজকের বাংলা তারিখ

October ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Sep    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page