অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশিষ্ট ব্রিটিশ ক্রীড়া উপস্থাপক এবং ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার গ্যারি লিনেকার জানিয়েছেন, তিনি গাজা উপত্যকায় নিহত শিশুদের ভিডিও এবং ছবি দেখে নিয়মিত কাঁদেন। গত শুক্রবার (১০ মে) জনপ্রিয় উপস্থাপক ও সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিবিসির ম্যাচ অব দ্য ডের উপস্থাপক লিনেকার জানিয়েছেন, তিনি গাজায় সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে নীরব থাকবেন না। তিনি তার জীবনে এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু দেখেননি।
লিনেকার বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি কেন অনেকেই গাজা সম্পর্কে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে যা ঘটছে সে সম্পর্কে আমি চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রতিদিন যা দেখছি তা অত্যন্ত ভয়াবহ।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আসলে, এই ইস্যুটি আমার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। আমি একজন মুসলিম নই, আমি ইহুদি নই, আমি ইসরাইলি নই, আমি ফিলিস্তিনি নই। তাই আমি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আমার জীবনে এর চেয়ে খারাপ কিছু দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। দিনের পর দিন শিশুদের মৃত্যুর খবর এবং ভিডিও দেখতে পাচ্ছি। যখন আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের কিছু ছবি, ভিডিও দেখি, আমি সারাক্ষণ কাঁদি।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা সবাই জানি যে হামাসের ঘটনা ৭ই অক্টোবর ঘটেছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা (ইসরাইল) সেখানে যা করছে তার বিরুদ্ধে আপনি আওয়াজ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে হামাস সমর্থক বা এরকম কিছু বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। মানুষকে নীরব রাখার জন্য প্রচুর লবিং করা হচ্ছে।’
লিনেকার ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য একটি এজেন্ডা রয়েছে, যার মধ্যে সম্প্রতি রাফায় স্থল অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, ‘ইসরাইল যা করছে, তা ভুল বলাটা আমি ইহুদিবিরোধী বলে মনে করি না। জানি না কেন কেউ কেউ এ বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই যুদ্ধে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু।
Leave a Reply