অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে অবস্থিত ২০টি হাসপাতাল খালি করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে মানবতার শত্রু ইসরাইল। ইহুদিবাদী সেনাদের নির্বিচার বোমাবর্ষণে আহত হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে যখন এসব হাসপাতাল হিমশিম খাচ্ছে তখন ইসরাইল এ নির্দেশ দিল।
ইসরাইলের এ নির্দেশের অর্থ হচ্ছে, এরপর এসব হাসপাতালেও বিমান হামলা চালানো হবে। এর আগে উত্তর গাজা থেকে ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। সে নির্দেশ শুনে কিছু মানুষ দক্ষিণ গাজায় চলেও গিয়েছিলেন।
কিন্তু দখলদার সেনারা দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার পথে হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত খান ইউনিসসহ অন্যান্য শহরেও ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। ফলে বহু মানুষ আবার দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তর গাজায় নিজ ঘরবাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন এই বলে যে, দক্ষিণেও যখন মরতে হচ্ছে তখন নিজ ঘরবাড়িতে সম্মানের সঙ্গে মরাই ভালো।
গাজার আল–আহলি আরব হাসপাতালে দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন
এদিকে তেল আবিব গতকাল (শনিবার) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, তাদের নির্দেশ অমান্য করে যারা উত্তর গাজা বিশেষ করে গাজা সিটিতে থাকবে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে বিবেচনা করা হবে।
ইসরাইল যেসব হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে সেগুলোতে আহত মানুষের চিকিৎসা ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ ইসরাইলি বোমাবর্ষণ থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নিয়েছে। গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো ইসরাইলি নির্দেশ পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল এমন সময় গাজার ২০টি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিল যখন গত সপ্তাহে মধ্য গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু এবং এসব হতভাগ্য মানুষ অন্যান্য স্থান থেকে প্রাণভয়ে তুলনামূলক নিরাপদ স্থাপন ভেবে হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, ইসরাইল আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো তেল আবিবের এই দাবিকে সত্য প্রমাণ করার জন্য ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু এবার যখন ইসরাইল সত্যি সত্যি ২০টি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে তখন এসব পশ্চিমা গণমাধ্যম নীরব রয়েছে।
Leave a Reply