অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুর সাফারি পার্কের সাফারি কিংডম এলাকায় ছানার জন্ম দিয়েছে গ্ৰে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি। সেখানে বিশাল আকারের খাঁচার ভেতর কালিম, পেলিক্যান, রাজধনেশসহ বিভিন্ন পাখির সঙ্গে ক্রাউন্ড ক্রেন জোড়ার বসতি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেষ্টনীর একেবারে পশ্চিম প্রান্তে ছোট ছোট আগাছার আড়ালে ছানাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পাখি। কয়েকদিন আগেই ডিম ফুটে তাদের জন্ম হয়েছে। গায়ের রং সাদা ও বাদামি।
ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির মাথার ওপরে দৃষ্টিনন্দন ঝুঁটি থাকলেও ছানার তেমনটি এখনো দেখা যায়নি। তবে মাথার ওপরে লোম অপেক্ষাকৃত উঁচু। ছানাটির পা দুটি শরীরের তুলনায় কিছুটা লম্বাটে গঠনের। ঘাসের আড়ালে সে যেখানেই যাচ্ছে, সঙ্গে ছায়ার মতো অবস্থান করছে মা ও বাবা ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন উগান্ডার জাতীয় পাখি। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাখিগুলো আনা হয়। বিভিন্ন সময় ডিম দিলেও বাচ্চার জন্ম হয়নি। এবারই প্রথম বাচ্চার জন্ম হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম হয়েছে ছানাটির।
ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির বিচিত্র বৈশিষ্টের জন্য এরা প্রায় সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। পার্কের বন্যপ্রাণী সংশ্লিষ্টরা জানান, এরা অন্য পাখি ও মানুষের সুরের মতো ডাকতে পারে।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘সাফারি পার্কে এমনকী দেশে প্রথম এই পাখির ছানার জন্ম হয়েছে। পাখিগুলো উন্মুক্ত পরিবেশে ২০ বছর বাঁচে। তবে আবদ্ধ পরিবেশে বাঁচে প্রায় ২৫ বছর। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়।’
তিনি আরও জানান, ক্রাউন্ড ক্রেন একবার সঙ্গী বাছাই করলে সারাজীবন সে সম্পর্কে টিকে থাকে। সাফারি পার্কে পাখিটি ছানা দেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরও ছানা পাওয়ার আশা জেগেছে।
বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষণ ও গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তারেক রহমান বলেন, ‘বিদেশি এই পাখিটি বাংলাদেশের পরিবেশে সারভাইভ করেছে। এমনকী ডিম ফুটে ছানার জন্ম হয়েছে। এটি এই পার্কের পরিবেশ তাদের উপযোগী বলে জানান দেয়। বিষয়টি দারুণ আনন্দের। এই কৃতিত্ব পার্ক সংশ্লিষ্ট সবার।’