বশির আলমামুন : চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে তারা বিক্ষোভ করছেন কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে। বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম। বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রতিদিন ১৫০ জনের বেশি রোগী এই ডায়ালাইসিস সেবা নিয়ে থাকেন। জেলায় কিডনি রোগীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি।
বিক্ষোভকারী রোগী ও স্বজনরা বলছেন, টাকার অভাবে সময়মতো ডায়ালাইসিস করাতে না পারলে প্রাণ হারানোর শঙ্কা রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রক্তস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট ও শরীর ফুলে গিয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের ফি বহালের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলবে।
রোগী ও স্বজনদের দাবি, কোনও কোনও রোগীকে সপ্তাহে আটবারও ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে দুই হাজার ৭শ ৯৫ টাকা করে সপ্তাহে দুই বার নেওয়া হতো। বাকি ছয়বার নেওয়া হতো ৫১০ টাকা করে। বর্তমানে ১ জানুয়ারি থেকে আগের দুই হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা এবং ৫১০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৫৩৫ টাকা। শুধু তাই নয়, আগে আটবার ডায়ালাইসিসের জন্য দুইবার নেওয়া ২ হাজার ৭৯৫ টাকার স্থলে এখন ২ হাজার ৯শ ৩৫ টাকা চারবার কিংবা আরও বেশি বার নেওয়া হচ্ছে।
মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা কানুরাম শর্মা বলেন, ‘আমার স্ত্রী নমিতা শর্মা দেড় বছর আগে কিডনি রোগ ধরা পড়ে। গত ১৪ মাস ধরে চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। মাসে আটবার করে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মধ্যে চমেক হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৫ টাকায় দুই বার এবং বাকি ছয় বার ৫১০ টাকায় ডায়ালাইসিস করে আসছি। এভাবে গত এক বছর ধরে ডায়ালাইসিস করে আসছি। তবে বাইরে প্রতিবার ১৮শ’ টাকা থেকে ২৫শ’ টাকা করে নেয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম খরচে উন্নতমানের ডায়ালাইসিস করতে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত কিডনি রোগী।
চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ডায়ালাইসিস সেবায় ‘সেন্ডোর’ নামে একটি সংস্থাও জড়িত। অর্থাৎ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও সেন্ডোর যৌথভাবে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে জানতে চাইলে সেন্ডোরের লোকজন এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা দেখা হচ্ছে।’
Leave a Reply