স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের বড়বাড়ী-রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য প্রায় ৯টন গম বরাদ্দ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। ইতিমধ্যে গম বিক্রি করে ৬৪গাড়ী মাটি দিয়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেন যাদবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম মইফুল।
এই কাজের অনিয়ম হওয়ার কারণে গ্রামবাসী বিদ্যালয়ের মাঠে শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় এক শালিস বৈঠনের আয়াজন করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাফিন আহম্মেদ জানান, চলতি বছর আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৯টন গমের বরাদ্দ করা হয় মাটি ভরাটের জন্য । এই প্রকল্পের সভাপতি করা হয় সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য হাজের বেগমকে। এ প্রকল্পের সম্পাদক হন ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম মইফুল। আমাকেসহ এলাকার কারো না জানিয়ে ইউপি সদস্য মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন, এবং দুইদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে দেন।
কিন্তু এলাকার জনগণ কাজের অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে আমার কাছে এর হিসাব চান। আমি বলেছি এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ কারণে আজ এলাকার গন্য-মান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্কুলের সাবেক সভাপতিসহ প্রকল্পের সভাপতি, সম্পাদক, ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য এক বিচার শালিস বসানো হয়। শালিসে প্রকল্পের সভাপতি হাজেরা বেগম বলেন আমি শুধু সভাপতি এর বাইরে আমাকে কিছু জানানো হয়নি । এবং আমি জানিনা কখন কি ভাবে মাটি দেওয়া হয়েছে।
পরে ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম মইফুল ভুল স্বীকার করে ৩দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে আরো ৪০ গাড়ী মাটি দেবেন বলে জানান। শালিসে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আতিয়ার রহমান, টি আর সদস্য সাইফুল ইসলাম ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।