July 29, 2025, 9:30 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিয়ে হওয়ায় স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক ২০২৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন আহ্বান আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি জাল ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পে মালয়েশিয়ায় প্রবেশচেষ্টার দায়ে ১৫ বাংলাদেশি আটক অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ আগামী বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি ; ৪ দিন পর ৯ জেলে উদ্ধার ; এখনও নিখোঁজ ৬ জন ঝিনাইদহে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ    সাতক্ষীরায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রচারণা 
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নারীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে ছেলে-বাবার বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলা কৃষকদল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কৃষকদল নেতাসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে ধর্ষণ, গর্ভপাত ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

এ দিকে শৈলকূপা থানায় নির্যাতিত ওই নারী পৃথক আরেকটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সম্রাট মন্ডল।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারী সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল খন্দকার নামের এক যুবক। নাজমুল খন্দকার শৈলকূপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের ছেলে। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমুল খন্দকার নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নাজমুলের পরিবারের সবাই জানার পরে তারা ওই সম্পর্ক মেনে নেয়। এরপর ওই নারী নাজমুলের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে নাজমুল ও তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা কৌশলে ওই নারীকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার রয়েল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করে গর্ভপাত ঘটান।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মা ভুক্তভোগী নারীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ওই নারী কোনো সমাধান পাননি। পরে তিনি শৈলকূপা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। নাজমুল খন্দকারের বাবা কামরুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই নারীকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে তার অভিযোগ।

ভূক্তভোগী নারী বলেন, দুই বছর ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক। বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত থাকায় নাজমুলের বাবা কামরুল ইসলামসহ পরিবারের সবাই বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু গর্ভবতী হয়ে পড়লে নাজমুলের পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা জোরপূর্বক আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেন।

এ বিষয়ে কৃষকদল নেতার ছেলে নাজমুল খন্দকার বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। সে একজন প্রতারক। আমার নামে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানি না।

নাজমুলের বাবা শৈলকূপা উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী নারী সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে সে আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। গর্ভপাত ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এসময় তিনি প্রতিবেদককে নিউজটি এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

শৈলকূপা থানার এসআই সম্রাট মন্ডল বলেন, ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে পারিপার্শ্বিকতা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা সেটা পেয়েছি। এ বিষয়ে আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছি। আদালত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page