এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার কুষ্টিয়ার আয়োজনে এবং ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর উদ্যোগে পরিচালিত জবপড়াবৎু ধহফ অফাধংসবহঃ ড়ভ ওহভড়ৎসধষ ংবপঃড়ৎ ঊসঢ়ষড় ুসবহঃ (জঅওঝঊ) জবরহঃবমৎধঃরড়হ ড়ভ জবঃঁৎহরহম গরমৎধহঃং প্রকল্পের কার্যক্রম অবহিতকরণ এবং ‘বিদেশ ফেরৎ অভিবাসী কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক ( অর্থ ও কল্যাণ) যুগ্ম সচিব গিয়াস উদ্দিন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কার্যক্রম এবং রেইজ প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের কুষ্টিয়া সেন্টারের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের ডিডি ষষ্ঠি চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, টিটিসির অধ্যক্ষ রুস্তম আলী,প্রবাস ফেরৎ রেমিটেন্স যোদ্ধা আব্দুল লতিফ, রবিউল ইসলাম,উই এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন, আব্দুর রহমান এবং তরিকুল ইসলাম। সেমিনারে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক,বিআরডিবিসহ বিভিন্ন সরকারী অফিস প্রধান এবং সেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি বলেন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কল্যাণে এই প্রকল্পের আওতায় ৪২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তারা যাতে সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈধপথে বিদেশ যেতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে বিমান বন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক,ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার,প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি,ভর্তি সহায়তা, বীমা কার্যক্রম,প্রতিবন্ধী ভাতা,আহত ও অসুস্থ কর্মীদের সহায়তা, প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা,মৃতদেহ দেশে আনয়ন,অ্যাম্বুলেন্স সেবা,হেল্পডেস্ক,আইনী সহায়তা ও লিগ্যাল সেল,অনিবন্ধিত ও অনাবাসি বাংলাদেশিদের বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ,শ্রম কল্যাণ, উইংয়ের মাধ্যমে সহায়তা,বিদেশে সেইফ হোম পরিচালনা,প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপনে সহায়তা এবং প্রত্যাগত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন পরিচালনা। তিনি বলেন এই প্রকল্পের অধীন বিশ^ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় ৩১টি জেলা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে কল্যাণমূলক নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যাগত কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন, ওরিয়েন্টেশন, কাউন্সিলিং প্রদানপূর্বক এককালীণন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেফারেল সার্ভিসের মাধ্যমে কর্মীর আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ,কারিগরি প্রশিক্ষণ,ঋণপ্রাপ্তিতে সহযোগিতাসহ দক্ষতা সনদ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি সকলকে প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাগজ পত্রের সঠিকতা যাচাইসহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহযোগিতা নেয়ার আহবান জানান।
Leave a Reply