অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩,০০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো নৌকা এবং জেট স্কি ব্যবহার করে আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর কাজ করেছে।
ব্যাংকক থেকে এএফপি জানায়, স্থানীয় মিডিয়া ফুটেজে দেখা যায়, বাসিন্দারা বুক পর্যন্ত গভীর ঘোলা জলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যে এবং বন্যার রাস্তায় গাড়ি ডুবে আছে।
দেশটির দুর্যোগ সংস্থা তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বলেছে, ‘দক্ষিণ থাইল্যান্ডের আটটি প্রদেশ জুড়ে বন্যায় ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯২১টি পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।’
১৩ হারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, স্কুল এবং মন্দিরগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
উপকূলীয় সোংখলা প্রদেশের বাসিন্দা নাম্পা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী থাই পিবিএসকে বলেছেন যে তিনি খাদ্য সরবরাহ হ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন।
“আমরা এখন ভাল আছি, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই যে আমরা কতদিন এই অবস্থায় থাকতে পারবো,” তিনি বলেন।
পার্শ্ববর্তী পাত্তানি প্রদেশের দুটি হাসপাতাল বন্যার পানিতে যাতে চিকিৎসা সুবিধার ক্ষতি না হয় সেজন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
প্রতিবেশী উত্তর মালয়েশিয়ায়, বৃষ্টিপাত এই সপ্তাহে কমপক্ষে ৮০,০০০ মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে, সেখানে দুর্যোগ কর্মকর্তারা বলেছেন যে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে।
থাই আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে “খুব ভারী বৃষ্টি” আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে এবং প্রতিটি প্রদেশের জন্য পর্যপ্ত বন্যা ত্রাণ পাঠছানো হয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন সিনাওয়াত্রা শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার করাই তাদেও রক্ষ্য।’
Leave a Reply