অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ছাড় পাওয়া ইরানের ৬০০ কোটি ডলার এবার কাতারে আটকে দেয়া হয়েছে বলে যে দাবি আমেরিকা করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে এক বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ইরানের পাওনা ৬০০ কোটি ডলার কাতারের দু’টি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বার্তা সংস্থা নূর নিউজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কাতারের ব্যাংকগুলোতে রক্ষিত অর্থ খরচের ব্যাপারে ইরানের যে প্রবেশাধিকার ছিল তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি বরং এ সংক্রান্ত চুক্তি পুনর্বহাল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, হাউজ ডেমোক্র্যাটসকে মার্কিন উপ অর্থমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডেইয়েমো বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের অকস্যাৎ হামলা করার কারণে ওই ৬০০ কোটি ডলারে ইরানের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে কাতার ও আমেরিকা সম্মত হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে কাতারের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ও আমেরিকা পরস্পরের পাঁচজন করে বন্দি মুক্তি দেয়। ওই চুক্তিতে আরো বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক ব্যাংকে আটকে পড়া ইরানের ৬০০ কোটি ডলার অর্থ কাতারে স্থানান্তর করা হবে এবং ইরান কাতারের ব্যাংকগুলো থেকে ওই অর্থ ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারবে।
সেপ্টেম্বর মাসে ওই অর্থ কাতারের আহলি ব্যাংক ও দুখান ব্যাংকে জমা হয়। ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের তেল বিক্রির ওই ৬০০ কোটি ডলার আটকা পড়েছিল।