অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুরের কাহারোল ছয় ইউনিয়নে কৃষকের জমিতে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে ব্রি-ধান ৩৪। চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আট হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ৩৪ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার উপজেলায় ব্রি-ধান ৩৪ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার মুকুন্দপুর, চকপ্রাণকৃষ্ণ, সরঞ্জা, মহদিপুর, ডহনদা, পহরিয়া, ঈশানপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে সবুজ ব্রি-ধান ৩৪ ধানের শীষ দেখা গেছে।
উপজেলার ঈশানপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো মফিজ উদ্দীন ও ঈশ্বরগ্রামের লুৎফর রহমানসহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই তারা বুকভরা আশা নিয়ে দিনভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে কাজ করছেন। শেষ মুহূর্তে ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এই এলাকায় আগাম জাতের আমন ধানকাটা সঙ্গে মাড়াই শুরু হলেও ব্রি-ধান ৩৪ কাটতে আরও ১৫ হতে ২০ দিন সময় লাগবে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে মাঠে কারেন্ট পোকা (‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ) লাগার সম্ভবনা বেশি থাকে, তবে বর্তমানে কোনো প্রকার পোকার আক্রমণ নেই বলে জানা গেছে।
গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে ব্রি-ধান ৩৪ চাষে পঁচা ও কারেন্ট পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ অনেক কমেছে। এখানকার সুগন্ধী ব্রি-ধান ৩৪ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান রপ্তানি হয়।
কাহারোলে এবার সর্বাধিক জমিতে ব্রি-ধান ৩৪ সুগন্ধী জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকতা আবু জাফর মো. সাদেক জানান, শেষ মুহূর্তে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ব্রি-ধান ৩৪ ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply