অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে দিনাজপুরে দলটির মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ১২টায় শহরের বাহাদুর বাজার এলাকা থেকে একটি মিছিলটি বের হয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই গণমিছিলের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতা-কর্মীকে স্টেশন রোড ও স্টেশন চত্বর থেকে আটক করে পুলিশ।
কিছুক্ষণ পর শহরের নিমনগরস্থ ফুলবাড়ী বাস স্টান্ড থেকে আরো ৪ জনকে আটক করা হয়।
দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শহরের বাহাদুর বাজারের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এ সময় সেখান থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে
নিমনগরস্থ ফুলবাড়ী বাস স্টান্ডে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে সেখান থেকে আটক করা হয় আরো ৪ জনকে। দিনাজপুর কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযানের নেতৃত্ব দেয়।
তিনি বলেন,জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ১৬ ডিসেম্বর একইভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাশকতা করার চেষ্টা চালিয়েছিলো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ দাবি করেছেন, আটক ব্যক্তিরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মী।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন,বীরগঞ্জ উপজেলার আলামিন হোসেন ( ৪০)এরশাদ আলী(৩০)আলামিন ইসলাম(৩২) ও আজগর আলী (৪৫) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার আতাহার আলী(৪৫) ও হাসিনুর রহমান (২৫)।র বিষয়ে দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমীর রেজাউল করিমের কাছে জনতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই ১০ দফা দাবি দেশব্যাপী যুগপৎ গণ–আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার গণমিছিল অনুষ্ঠিত ছিলো।আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে আমাদের নেতা–কর্মীদের আটক করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা ভোর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নেয়। বেলা ১২টায় তারা লিলির মোড় থেকে রেলস্টেশনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
পুলিশ এ সময় রেলস্টেশনের প্রধান ফটক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে জামায়াত-শিবির নেতা–কর্মীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াতের সদস্য আজগর আলীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এতে নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বাহাদুর বাজার গোলকুঠি হয়ে হাসপাতাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নেতা–কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ আরও ১০ জনকে আটক করে।
Leave a Reply