December 3, 2025, 5:26 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে তারুণ্যের উৎসবে কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও সঞ্চয় প্রনোদনা বিতরণ মাগুরায় টিআরের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রাষ্ট্রপতির ফেসবুক আইডি হ্যাকড ; জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা ; দেওয়া হচ্ছে এসএসএফের নিরাপত্তায় আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে নির্বাচন ও গণভোট : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে খুলনায় আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় একজন আটক নানা আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কারাগারে ইমরান খানকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে : সাক্ষাতের পর বোন উজমা যুদ্ধ বন্ধের ‘অগ্রগতি’র পর ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি
এইমাত্রপাওয়াঃ

ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত কুড়িগ্রামের তিন স্থলবন্দরের পাথর শ্রমিকরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাথর ভাঙার কাজে মৃত্যু ঝুঁকি থাকলেও মজুরি কমের অভিযোগ শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের। অথচ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা কাজ করেও প্রতিদিন একজন শ্রমিক মজুরি পান মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

এ নিয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট, রৌমারী উপজেলার তুরা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাজ করা প্রায় ৪০ হাজার পাথর শ্রমিকের দাবি, তারা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।

তারা জানান, এ অঞ্চলে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায় বাধ্য হয়েই কম মজুরিতে পাথর ভাঙার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে। ন্যায্য মজুরি বঞ্চিত হলেও কাজ হারানোর ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না তারা।

তবে পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, এ অঞ্চলে শ্রমিকের সংখ্যা চাহিদার চেয়ে বেশি। কাজের অফার করলে অনেক শ্রমিক ছুটে আসেন, তাই তারা কম মজুরিতেই রাজি হন।

সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, সোনাহাট স্থলবন্দরে প্রায় ৮ হাজার, তুবা স্থলবন্দরে ৭ হাজার ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে ২৫ হাজার পাথর শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই নারী শ্রমিক।

তিন স্থলবন্দর এলাকায় রয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি পাথর ভাঙা মেশিন। প্রতিটি মেশিনে ১৫ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি, প্রতিদিন একজন শ্রমিকের অন্তত ৭০০ টাকা মজুরি হলে তা ন্যায্য হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের পাথর শ্রমিক শফিকুল ইসলাম (৪৫) বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরামহীনভাবে পাথর ভাঙি। শুধু দুপুরে খাওয়ার ও বিশ্রামের জন্য এক ঘণ্টা সময় পাই। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মজুরি পাই কিন্তু তাতে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে যায়।

একই এলাকার নারী শ্রমিক শরিফা বেগম (৪০) জানান, এ অঞ্চলে অন্য কোনো কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে কম মজুরিতে এই কঠিন কাজ করছি। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও সংসারের খরচ মেটাতে পারি না।

রৌমারীর তুরা স্থলবন্দরের শ্রমিক আব্বাস আলী (৪৮) বলেন, প্রতিবাদ করলে কাজে আর নেয় না। তাই কম মজুরি পেলেও চুপ থাকতে হয়। আমাদের যেভাবে পরিশ্রম করতে হয় তাতে আমাদের মজুরি কমপক্ষে ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু মজুরি পাই অর্ধেক।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক আজিজুল ইসলাম (৫০) অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কোনো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। তাই মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। নিয়োগপত্র চাইলে মালিক ক্ষিপ্ত হয় এবং কাজে না নেওয়ার হুমকি দেয়।

সোনাহাটের পাথর ব্যবসায়ী নূর হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে শ্রমিকের সংখ্যা চাহিদার চেয়ে বেশি। কাজের জন্য শ্রমিকরাই আগে আসেন, তাই কম মজুরিতেই রাজি হন। অন্য ব্যবসায়ীরা মজুরি বাড়ালে আমিও ন্যায্য মজুরি দিতে প্রস্তুত।

তুরা স্থলবন্দরের পাথর ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নারী শ্রমিকদের বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা ৪০০ টাকা মজুরিতে সন্তুষ্ট। পাথরভাঙ্গা কাজে পরিশ্রম বেশি এটা সত্য কিন্তু এলাকায় বিকল্প কোনো কাজ নেই। অন্য ব্যবসায়ীরা মজুরি বাড়ালে আমিও বৃদ্ধি করবো।

রংপুর অঞ্চল সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, পাথর ভাঙা শ্রমিকরা যেন ন্যায্য মজুরি পান, সেই দাবিতে আমরা কাজ করছি।

প্রথমে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র চূড়ান্ত করতে হবে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছে। মালিকরা দাবি না মানলে আন্দোলন ও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হবে। শিগগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page