অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় কষ্টে আছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার অন্তত ১৬ গ্রামের বাসিন্দা। জোয়ারে রাবনাবাদ নদীর পানি বাড়লেই ডুবে যায় গ্রামগুলো। জীবনযাপনের নানা উপকরণ নিয়ে প্রতিনিয়ত ছুটতে হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। অন্যদিকে জমি অধিগ্রহণের অর্থও এখনও হাতে পাননি তারা।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বাড়লেই তলিয়ে যায় কলাপাড়ার বুড়াজালিয়া, চান্দুপাড়া, পশরবুনিয়া ও চাড়িপাড়াসহ ১৬টি গ্রাম। ফলে গবাদি পশু থেকে রান্নার চুলা পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে পাশের বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিতে হয় বাসিন্দাদের। জরুরি চিকিৎসা, দরকারি কেনাকাটা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, স্যানিটেশন ও খাবার পানির সংকটসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় এ দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না তাদের। এদিকে, জমি অধিগ্রহণের টাকা এখনও বুঝে না পাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীর।
গ্রামবাসীরা জানান, “প্রায় সব মানুষ রাস্তায় উঠে গেছে। টয়লেটে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। মহিলা ও বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাব সেরকমের কোনো ব্যবস্থা নেই।”
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, “এ জায়গাগুলো অধিগ্রহণের, মানুষ যে অন্য কোথাও যাবে সেটাও যেতে পারছে না।”
৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৬ কিলোমিটার পায়রা বন্দর প্রকল্পের এবং এক কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এরই মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
কলাপাড়া পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, “টেন্ডার করে ঠিকাদার নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি একসঙ্গে ৭ কিলোমিটারের কাজ একসঙ্গে করা যায় তাহলে এখানে পানি ওঠা বন্ধ হবে।”
পায়রা সমুদ্র বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, “বেড়িবাঁধের বিষয়টি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।”
দুর্ভোগ বিবেচনায় দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
Leave a Reply