অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যে ছয়টা পর্যন্ত।
দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানকে কয়েকটি মামলায় কারাবন্দী করে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইমরান খান একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে পাকিস্তানের কিছু এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোট চলাকালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশজুড়ে মোবাইল টেলিফোন সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা, আধা সামরিক ও পুলিশ সদস্য।
এদিকে নির্বাচনের আগের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইমরান খানকে সাজা প্রদান, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি ও দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়াসহ এমন নানা কারণে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে। দেশটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ।
এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়।
এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে।
পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খানসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা কারাবন্দী। দলীয় প্রতীকে ভোট করতে পারছে না পিটিআই। এই পরিস্থিতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন দলটির নেতারা। আজকের ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। ভোটে হস্তক্ষেপ হতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই কৌশল সাজানোর কথাও বলেছেন পিটিআই কর্মী– সমর্থকেরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যিনিই জয়ী হয়ে আসুক তাকে বিপর্যস্ত অর্থনীতিসহ গভীর বিভক্তি মোকাবেলা করতে হবে।
Leave a Reply