অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত কেমারি এলাকার অজানা রহস্যজনক এক অসুখে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এদের মধ্যে ১৪ জনই শিশু। তবে দক্ষিণ পাকিস্তানের বন্দর নগরীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখনও এই মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ভরতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই মৃত্যুগুলো ১০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে কেমারীর মাওয়াচ গোথ এলাকায় ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য সেবা পরিচালক আবদুল হামিদ জুমানি শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন।
জুমানি বলেন, ‘একটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দল এই মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। তবে আমরা সন্দেহ করছি সমুদ্র বা পানির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কারণে মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। কেননা এই গোথ গ্রামটি উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত।’
মাওয়াচ গোথ হল একটি বস্তি এলাকা যেখানে বাসিন্দাদের বেশিরভাগই দিন মজুর অথবা জেলে পেশার। আবদুল হামিদ জুমানি বলেন, নিহতদের পরিবার নিশ্চিত করেছে, তাদের মৃত্যুর আগে অসুস্থতার লক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড জ্বর, গলা ফুলা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা ইত্যাদি ছিল। আবার অনেকেই গত দুই সপ্তাহ ধরে এলাকায় অদ্ভুত এক ধরনের গন্ধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।’
কেমারি জেলা প্রশাসক মুখতার আলী আবরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন কারখানার মালিককে আটক করা হয়েছে। আমরা প্রাদেশিক পরিবেশ সংস্থাকেও ডেকেছি যারা ওই এলাকায় কাজ করা তিনটি কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
নিহতদের মধ্যে তিন সন্তানসহ এক পরিবারের ছয়জন রয়েছে। আরেক এই অসুখে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হারিয়েছেন।
সিন্ধু কেন্দ্রের রাসায়নিক বিজ্ঞানের প্রধান ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, তারা কারখানা থেকে সয়া বিনের কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছেন এবং তারা মনে করেছেন সয়া অ্যালার্জির কারণে মৃত্যু হতে পারে।
ইকবাল চৌধুরী আরও বলেন, ‘এমনকি বাতাসে সয়াবিন ধূলিকণার কণাগুলি গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এখানে বায়ু দূষণ এবং আবহাওয়ার একটি বড় ভূমিকা থাকতে পারে। তবে আমরা এখনও নির্দিষ্ট অনুসন্ধানে পৌঁছাতে পারিনি, নমুনাগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
Leave a Reply