অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারত পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) পরিচালিত পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী। ব্লুমবার্গ ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে নয়াদিল্লি তাদের সামরিক সক্ষমতা দেখানোর জন্য এই পরীক্ষা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, বৃহস্পতিবার ওড়িশায় অবস্থিত আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ‘অগ্নি-৫’ নামের একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ‘অগ্নি-৫’ মিসাইল পাঁচ হাজার ৪০০ কিমি বা তার বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে জানিয়ে এক টুইট বার্তায় প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সক্ষমতা তৈরি করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করবে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে ভারত সরকার বঙ্গোপসাগরকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। একই সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চীনের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম বলেও জানানো হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে ভারতীয় ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতের সেনাবাহিনী জানায়, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সেনারা আহত হয়। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, কোনো ভারতীয় সেনা গুরুতর আহত হয়নি। ঘটনার পরপরই উভয় পক্ষের সেনারা সীমান্ত এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। চীনের সেনারাও হতাহত হয়েছিল।
এটি কয়েক দশকের মধ্যে চীন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ। এরপর থেকেই দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
Leave a Reply