“তোমরা সবাই মহান আলাহ্ তা’আলার ইবাদত কর, তার সঙ্গে কাউকে শরীক করোনা। পিতা-মাতার সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর, নিকট আত্মীয়, ইয়াতীম ও মিসকিনদের প্রতিও এবং প্রতিবেশী আত্মীয়ের প্রতি। আত্মীয় প্রতিবেশীর প্রতি, পথ চলার সঙ্গী ও পথিকের প্রতি এবং তোমাদের অধীনস্ত ক্রীতদাস ও দাসীদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন কর”। (সূরা নিসা ঃ আয়াত: ৩৬)
১. হযরত ইব্নে উমর (রা) ও আয়েশা সিদ্দীকা (রা) হতে বর্ণিত তারা উভয়ে বলেন- রসুলুলাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিতে থাকলেন। এমনকি আমার মনে হল, হয়ত তিনি প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার বানিয়ে দিবেন। (বোখারী ও মুসলিম)
২. হযরত আবু যার (রা) বর্ণনা করেন, রসুলুলাহ (সঃ) বললেন, হে আবু যার যখন তুমি তরকারী পাকাও, তাতে একটু বেশী পানি দিয়ে ঝোল বাড়াও এবং তোমার প্রতিবেশীকে পৌছে দাও। (মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুলাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, মহান আলাহ্ তা’আলার কসম! সে লোক মু’মিন নয়, মহান আলাহ্ তা’আলার কসম! সে লোক মু’মিন নয়, মহান আলাহ্ তা’আলার কসম! সে লোক মু’মিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রসুলুলাহ (সঃ) কে সে লোক যে মু’মিন নয়, জবাবে রসুলুলাহ (সঃ) বললেন, যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। ইমাম বোখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, মুসলিম শরীফের বর্ণনায় আছে “যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে কখনই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না”।
৪. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুলাহ (সঃ) ঘোষণা করেন, হে মুসলিম মহিলাগণ, কোন প্রতিবেশিনী যেন অপর প্রতিবেশীকে তুচ্ছ জ্ঞান না করে। এমন কি বকরীর পায়ের একটি ক্ষুর উপঢৌকন পাঠালেও নয়। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৫. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুলাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, যে লোক মহান আলাহ্ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে লোক মহান আলাহ্ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার মেহমানের ইজ্জত করে আদর আপ্যায়ন করে। যে লোক মহান আলাহ্ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা কথা বলে, অথবা নিরব থাকে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৬. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন ইয়া রসুলুলাহ (সঃ) আমার দুই ঘর প্রতিবেশী রয়েছে। এদের মাঝে কাকে আমি হাদিয়া দিব ? তিনি বললেন, উভয়ের মধ্যে যার ঘর তোমার বেশী কাছে হয় তাকে। ( বোখারী শরীফ)
Leave a Reply