অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বগুড়া জেলা কারাগারে এক মাসে ৪ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। জেল সুপার বলেছেন, ৪ জনই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তিনি জানান, তার আগের কর্মক্ষেত্র নওগাঁয় এক সপ্তাহে মারা গিয়েছিল ৭ জন।
মানবাধিকার কর্মী এবং জাতীয় গুম কমিশনের সদস্য নূর খান চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এই দিনে কথা হলো নূর খানের সঙ্গে৷ কথা হলো বগুড়া কারাগারে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে রতনের তার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, আমার মনে হয় কিছু করে মেরে ফেলেছে। তা না হলে (এত অল্প সময়ে) এতগুলো মানুষ মরবে কেন? ‘বলেছে তো হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’।
সর্বশেষ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দুর্গাহাটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন ওরফে মিঠু (৬৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের একাধিকবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। গত ২৪ আগস্ট তাকে আটক করা হয়।
রোববার দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ ভর্তি করা হয়৷ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে তিনি মারা যান।
আব্দুল মতিনের ভাইয়ের ছেলে শান্ত হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমার চাচার বয়স হয়েছিল৷ তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই।
এ নিয়ে গত ১১ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯ দিনে বগুড়া কারাগারে বন্দি থাকা চারজন আওয়ামী লীগ নেতা ‘কথিত হৃদরোগে আক্রান্ত’ হয়ে মারা গেলেন। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ওরফে ঝুনু (৫৭) কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান। ঠিক একদিন আগে, অর্থাৎ, ২৫ নভেম্বর মারা যান শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুল লতিফ (৬৭)। এর দু সপ্তাহ আগে, অর্থাৎ, ১১ নভেম্বর কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ওরফে রতন (৫৮)।
Leave a Reply