অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা কিংবা বাসাবাড়িতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দেবে ডিভাইস। বেজে উঠবে অ্যালার্ম। অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে গ্যাসলাইন।
এমনই একটি ডিভাইস তৈরি করেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার খুদে বিজ্ঞানী ইরান সরদার। ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অগ্নি’।
ইরান সরদার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের গৈলা গ্রামের ইব্রাহিম সরদার ও মমতাজ বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। তিনি উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও মাহিলাড়া ডিগ্রি কলজ থক এইচএসসি পাস করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ইরান সরদারের।
খুদে বিজ্ঞানী ইরান জানান, অগ্নি ডিভাইসটির প্রধান কাজ হচ্ছে বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, শিল্পকারখানার গ্যাসলাইন থেকে লিকেজ হলে গ্যাস শনাক্ত করা। লিকেজ শনাক্ত হলেই সেকেন্ডের মধ্যে অটোমেটিক গ্যাসলাইন এবং বাসার গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করে দেবে। পাশাপাশি রেড সিগন্যাল দেবে এবং অ্যালার্ম বাজিয়ে আশপাশের লাকজনকে সতর্ক করে দেবে। বাসাবাড়ির গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার আগে ডিভাসইটি গ্যাস বাসার বাইরে বের করে দেবে।
ইরান সরকার বলেন, “সম্প্রতি সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ‘অগ্নি’ ডিভাইস উদ্ভাবনে আমি মনোনিবেশ করি। এরইমধ্যে সফল হয়েছি। মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিভাইসটি তৈরি করা সম্ভব। এটি তৈরি করতে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরকারি কিংবা কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহায়তা পেলে বাণিজ্যিকভাবে অগ্নি ডিভাইস তৈরি করে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।”
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, ইরান সরদার উদ্ভাবিত ‘অগ্নি’ ডিভাইসটি সময়োপযোগী। বিষয়টি প্রসারের লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
Leave a Reply