অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও বিদ্বেষ ছড়ানো বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একজন সমাজকর্মী।
ব্রিটিশ মুসলিম ইনস্টিটিউটের (বিএমটি) নির্বাহী প্রধান আকিলা আহমেদ ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও বিদ্বেষ ছড়ানো বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, অনলাইনে বিদ্বেষ ও সমাজে বৈষম্যমূলক আচরণের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন কমে আসছে।
পার্সটুডে ও সংবাদ সংস্থা শাবিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকিলা আহমেদ ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতির এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুসলমানরা, বিশেষ করে হিজাব পরা নারীরা, আগের চেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং বাস্তব জীবনে বৈষম্যের মধ্যে ব্যবধান দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে এবং এটি সরকারের জন্য একটি গুরুতর সতর্ক সংকেত হওয়া উচিত।”
আকিলা আহমেদ সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাজ্যে ইসলামভীতির বহু ঘটনাই রিপোর্ট করা হয় না। তিনি সরকার ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণাচারণের বিস্তার রোধে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
তিনি সরকারের কাছে ‘ইসলামভীতি’র একটি নতুন সংজ্ঞা প্রণয়নের দাবি জানান, যাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রেখেই ঘৃণাচারণমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
আকিলা আহমেদ শেষে বলেন, “আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা চাই না; আমরা শুধু চাই আইন যেন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হয় এবং মুসলমানরাও যেন অন্যান্য নাগরিকদের মতোই আইনি সুরক্ষা পান।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিএমটি জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ইসলামভীতি বিরোধী জাতীয় কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক অংশীদার হিসেবে মনোনীত হয়েছে এবং খুব শিগগিরই ঘৃণামূলক অপরাধ সম্পর্কিত রিপোর্ট গ্রহণের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করবে।