ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহরা বাজারের মিম এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আলমগীরের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা হয়। গত শুক্রবার ১৯ এপ্রিল সরজমিনে ধলহরা বাজারে অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬.৩০ টার সময় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মিম এন্টারপ্রাইজে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়।
মাগুরা সদর থানায় ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে মামলা নং- ০৬, ধারা- ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৮০, ৪২৭, ৫০৬ ও ১১৪ এজাহার মামলার বাদী চাউলিয়া গ্রামের মোঃ সৈয়দ আলী সখাতির পুত্র মোঃ সাহেব আলী (৫৪)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বার মোঃ ফারুক শেখ সহ ২৩ জন আসামিসহ আরো অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো ধলহরা গ্রামের তুহিন শেখ, বাকি শেখ, আতর শেখ, সুজন শেখ, রাসেল মোল্লা, বাচ্চু শেখ, মোমিন মোল্লা, লাবলু, বাবলু, বাশি, সাজ্জাদ, জাহাঙ্গীর, ছোরন, আকাশ, আশিক, বাবুল, মাফুজ, কুবাদ, ইলামদি, মুকুল, রাজিব, শাহিদ সহ আরও নামহীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগণ। মামলার ১নং আসামি মেম্বার মোঃ ফারুক শেখ হুকুম দিলে মৃত আদিল শেখের পুত্র মুকুল শেখ চাপাতি দিয়ে ব্যবসায়ী আলমগীরের মাথায় কোপ দেয়, মোমিন উদ্দিন শেখের পুত্র বাকী শেখ ছ্যান্দা দিয়ে কানে কোপ ও আতর শেখ গলা চেপে ধরে। মৃত নাজেম মোল্লার পুত্র মোমিন মোল্লা চাপাতি দিয়ে বাম পায়ে ও তুজামের পুত্র জাহাঙ্গীর ছ্যানদা দিয়ে ডান পায়ের গিরের নিচে কোপ দেয়। মোঃ খালেক শেখের পুত্র মোঃ ফারুক শেখ ছ্যানদা দিয়ে ডান পায়ের হাটুর নিচে কোপ দেয়। মৃত মোকার পুত্র মাফুজ চাপাতি দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপর কোপ দেয়। মৃত আফছার কাজীর পুত্র ছোরন দোকানে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়, আকাশ ও আশিক লোহার রড দিয়ে দোকানের গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বাবুল ও ইলামদি দোকানের গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার, অটোবির আলমারি, শোকেচ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। তুহিন শেখ, সুজন শেখ, বাচ্চু শেখ ও রাজিব লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেদম আকারে মারধর করে। এসময় আলমগীর ডাক চিৎকারে চাউলিয়া গ্রামের শামিম, লিয়াকত, আক্তার, স্বপ্না ও এলাকার লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় অটো যোগে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
মামলার বাদী মোঃ সাহেব আলী জানান, মামলায় বাদী হওয়ার কারণে আমার ভাস্তে ব্যবসায়ী আলমগীর ও আমি জীবনের অনিরপত্তা ও হুমকির মধ্যে আছি। আমি মাগুরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।
মামলার বিবাদী ১ নং আসামি মেম্বার মোঃ ফারুক শেখ জানান, আমি মারামারির সাথে জড়িত ছিলাম না এবং তারা আমার নামে হুকুমের আসামি করেছে।
তবে গোপনসূত্রে জানা যায়, পূর্বের গুচ্ছ গ্রামের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সামাজিক দলাদলির কারণে এমন ঘটনার সূত্রপাত। অনুসন্ধান চলমান থাকবে।
Leave a Reply