নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের বেঙ্গা বেরইল গ্রামে শ্বশুর শ্বাশুড়িকে অজ্ঞান করে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়গেছে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে লস্কারপাড়া এলাকার হাসান লস্কারের পুত্র আজিজুল লস্কার বাদী হয়ে উক্ত গ্রামের উথান লস্কারের পুত্র মোঃ রিমুল লস্কার (১৬) ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ছালাভরা সুন্দরপুর গ্রামের মোঃ তুরজাউনের কন্যা স্নিগ্ধা খাতুন (২০) এর নামে মাগুরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৩ বছর পূর্বে মোছাঃ স্নিগ্ধা খাতুনের সাথে আজিজুল লস্কারের পুত্র ইয়াছিন লস্কারের বিবাহ হয়।
বর্তমানে তাদের ৪ মাস বয়সী পুত্র সন্তান আছে। যার নাম ইসমাইল লস্কার। বিবাহের পর স্নিগ্ধা খাতুন অবাধ্য চলাফেরা করতো এবং শুরুতেই রিমুল লস্কারের সাথে অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রিমুল লস্কার কৌশলে স্নিগ্ধা খাতুনকে ইয়াছিন লস্কারের সংসার ছাড়া করার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাত ১১.৩০ টার সময়ে রিমুল লস্কার, ইয়াছিন লস্কারের বাড়ির সকল লোকজনের অগোচরে স্নিগ্ধা খাতুনসহ তাহার শিশু পুত্র ইসমাইল লস্কারকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে খোঁজাখুজি করে আজীজুল লস্কার, ইয়াছিন লস্কার ও চায়না খাতুন দেখতে পায় স্নিগ্ধা খাতুন ঘরে থাকা ব্যবহার্য জিনিসপত্র, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের গলার চেন, ২ টি আংটি ও নগদ ৯৬ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
ঘটনাটি রিমুল লস্কারের পরিবারের জানানো হলে তারা ছেলে ও মেয়েকে হাজির করার কথা বলে কালক্ষেপন করছে।
রিমুল লস্কারের পিতা উথান লস্কার জানান, আমার ছেলে রিমুল লস্কার বেরইল বাজার স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র। তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। আর আমি এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জানি না। তবে শুনেছি ঐ স্নিগ্ধা নামের মেয়েটি পূর্ব থেকেই দুশ্চরিত্রা টাইপের। হয়তো আমার নাবালক ছেলেকে ছলনাময়ী স্নিগ্ধা খাতুন তার মায়াজালে জড়িয়ে ফাঁদে ফেলেছে। তার ছেলে এখন কোথায় আছে এটা তিনি জানেন না।
তবে তিনি বলেন, ঐ মেয়ে হলো একটা অস্বাভাবিক আচরণ টাইপের লোভী ও উগ্র আচরণের জেদি মেয়ে। ইয়াছিন লস্কারের মা চায়না খাতুন জানান, আমার বেটার বৌ স্নিগ্ধা খাতুন মোবাইল ফোনের ওয়াইট অ্যাপসের মাধ্যমে কথা বলতো রিমুল লস্কারের সাথে।
পালিয়ে যাওয়ার দিন খাবার স্যালাইনের পানির সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আমাদের সবাইকে বেহুশ করে পালিয়ে গেছে।
ইয়াছিন লস্কার জানান, আমি আর ঐ মেয়ে স্নিগ্ধা খাতুনকে স্ত্রী বলে কখনও স্বীকার করবো না।
আমি শুধু আমার পুত্র ইসমাইলকে ফেরত চাই। অপরাধী দুজন স্নিগ্ধা ও রিমুলের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।
রাঘবদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪.৫.৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সদস্য নবীরন খাতুন জানান, ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেছে।
Leave a Reply