অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যশোরের ভবদহ এলাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৬টি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খননকাজ শুরু হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ভবদহ স্লুইসগেটের পাশে এক্সকেভেটর দিয়ে নদী থেকে মাটি তোলার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই খননকাজের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি, সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক বিএম আব্দুল মোমিন, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কলে যুক্ত হন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘ভবদহ অঞ্চলের মানুষের জলাবদ্ধতার দুঃখ দূর করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ভবদহ জলাবদ্ধতা একটি গভীর সংকট, যার সমাধান খুঁজতে সরকার একাধিক সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদী খননকাজ শুরু হওয়ায় তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই ছয়টি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খননের মাধ্যমে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে জলাবদ্ধ এলাকার পানি অপসারণ সম্ভব হবে। তবে স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ বলেন, যেকোনো চ্যালেঞ্জিং কাজের দায়িত্ব সেনাবাহিনী সবসময়ই দায়িত্বশীলভাবে পালন করে আসছে। ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনও একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ।
তিনি আরও বলেন, ভবদহ তুলনামূলকভাবে নিচু এলাকা। এখানকার ছয়টি নদী খননের মাধ্যমে পানি অপসারণ করা হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের জন্য একটি সমন্বিত প্রকল্পও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা পেলে এই অঞ্চলের মানুষকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।