অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে শনিবার ফিলিস্তিনিপন্থী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রিটেনে মিছিল করেছে। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
গাজায় স্থল বাহিনীকে শক্তিশালী করে যুদ্ধ বাড়িয়ে ইসরায়েলের তীব্র হামলায় আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা করে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খবর এএফপি’র।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি দল গাজা সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা ও ২২০ জনের বেশিকে জিম্মি করার পর ইসরায়েল তার বোমা হামলা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলার পর থেকে ৭ হাজার ৭০৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০টির বেশি শিশু।
লন্ডনে টানা তৃতীয় সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বড় সমাবেশ আয়োজনে অংশগ্রহণ করা বিক্ষোভকারী, ৩৬ বছর বয়সী দানি নাদিরি বলেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানো এবং জিম্মিদের মুক্তির লড়াইয়ে ‘মানবিক বিরতির’ জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আহ্বান যথেষ্ট নয়। নাদিরি এএফপিকে বলেন, ‘পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার। এখন আর বাড়তে না দিয়ে কিছু করার সময় এসেছে।’
বিক্ষোভকারীরা ওয়েস্টমিনস্টারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যাওয়ার আগে দুপুরে টেমস নদীর তীরে একটি কেন্দ্রীয় পয়েন্টে জড়ো হয়।
ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে প্রায় ১ লাখ লোক লন্ডনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইনে’ যোগ দেয়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবরও জানিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া ।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ বিক্ষোভে টহল দেওয়ার জন্য এক হাজারের বেশি কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে। পুলিশ এক বিক্ষোভকারীকে একজন অফিসারকে লাঞ্ছিত করার সন্দেহে এবং অন্য একজনকে বর্ণবাদী মন্তব্য ও হত্যার হুমকি দেওয়ার দায়ে গ্রেপ্তার করেছে।
প্যারিসে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল : শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ফ্রান্স জুড়ে সমাবেশে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা প্যারিসে জনসাধারণের অনুমোদনের ভিত্তিতে জারি করা আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে এক বিক্ষোভে যোগ দেয়। পুলিশের বিশাল বাহিনী রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়।
ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী মার্সেইতে ৪ হাজার জন মিছিল করেছে, পুলিশ এই সংখ্যাকে ১ হাজার ৮০০ উল্লেখ করেছে।
সুইজারল্যান্ডে ৭ হাজার বিক্ষোভকারী জুরিখে জড়ো হয়। লুসানে ২ হাজার, জেনেভাতে ১ হাজার ৮০০ এবং বার্নে এক হাজারের বেশি লোক বিক্ষোভে যোগ দেয়।
Leave a Reply