অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেম্ফিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টাইরি নিকোলস হত্যার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কতটা নির্দয়ভাবে নিকোলসকে মারধর করেছে সেই দৃশ্য উঠে এসেছে ওই ভিডিওতে। এর মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হয়েছে যে, পুলিশি নির্যাতনেই নিকোলসের মৃত্যু হয়েছে। তবে, নিকোলসের পরিবার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, মেম্ফিস পুলিশ প্রধান বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বশীল আচরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে এফবিআই এবং মার্কিন আইন মন্ত্রণালয়।
প্রকাশিত প্রথম ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা টাইরি নিকোলসকে গাড়ি থেকে বের করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন নিকোলস।
এরপর দ্বিতীয় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিকোলসকে মাটিতে চেপে ধরে হাতকড়া পরানোর চেষ্টা করছেন। কিছুক্ষণ পর এক কর্মকর্তা তার মুখে লাথি মারেন। পরক্ষণেই আবারও ওই কর্মকর্তা তাকে লাথি মারেন। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে মাটিতে ফেলে নির্যাতন করতে থাকেন তারা। একটু পর আরো এক পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে পেটাতে শুরু করেন। আরেক পুলিশ তাকে একের পর এক ঘুষি মারতে থাকেন।
এভাবে নিকোলসের ওপর একর পর এক নির্যাতন চলতেই থাকে। সবশেষ আরেক পুলিশ কর্মকর্তা মারধরে যোগ দেন। এসময় মোট ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে সেখানে উপস্থিত দেখা যায়। এক পর্যায়ে নিকোলস আহত অবস্থায় মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকেন। তখনও তার ওপর নির্যাতন চলতে থাকে।
ভিডিওটি প্রকাশের আগে নিকোলাসের মা এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, তিনি না দেখেই বুঝতে পারছেন ভিডিওটা কত ভয়ঙ্কর। কিন্তু ভিডিওর জের ধরে কোনো সহিংসতা হোক তা তিনি চান না। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান রাভাগন ওয়েলস।
সংবাদ সম্মেলনে টাইরি নিকোলসের মা রাভাগন ওয়েলস বলেন, তার ছেলে সব সময় বলতো যে, একদিন সে খুবই বিখ্যাত হবে। কিন্তু কে জানতো, তার বিখ্যাত হওয়ার গল্পটা এতটা নির্মম হবে।
এদিকে, শোকাহত টাইরি নিকোলসের মা’কে শুক্রবার টেলিফোন করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি তাকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের বিচারে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
Leave a Reply