অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। এটা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রথম মামলা।
রায় ঘোষণার পর অধিকারের আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম। তিনি রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সাজা বৃদ্ধির জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে জানান।
অপরদিকে আদিলুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রায়ের পর তিনি বলেন, ‘আদিলুর ও এলান বিচারিক আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।’
মামলার রায় পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম উপস্থিত ছিল। উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দও।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। মামলার উভয় আসামিই জামিনে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর অবরোধ করে রাখা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরানোর অভিযানে ৬১ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছিল আদিলুরের সংগঠন অধিকার।
হেফাজতকাণ্ডে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির তৎকালীন এসআই আশরাফুল ইসলাম। পরে ১০ আগস্ট রাতে আদিলুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুমাস পর কারাবন্দি থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
সাধারণ ডায়েরির তদন্ত শেষে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেন এসআই আশরাফুল। পরদিন মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
Leave a Reply