May 6, 2025, 10:32 am
শিরোনামঃ
একদিনে ৪ দেশে হামলা করেছে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা ‘রাজনীতিকরণ’ করা উচিত নয় : আইসিআরসি ঝিনাইদহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জ্যোতিষ সাঈদ গ্রেফতার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য ও এক গৃহবধূ মাগুরায় মনোয়ারা জামান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রেজুলেশন বহিতে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যেকোনো পরিস্থিতিতে মাতৃভূমিকে রক্ষায় বিমান বাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : বিমান বাহিনী প্রধান এনআইডি ডাটাবেজে রোহিঙ্গা-বিদেশিদের ঢুকতে দেবে না ইসি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কাউকে চাপ দেওয়া হবে না : ইইউ রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

রিয়া বা ছোট শিরক সম্পর্কিত হাদীসে কুদসীসমূহ (বাংলা অর্থ)

শিরকে আসগর তথা ছোট শিরক বা রিয়া আমলের প্রতিদান নষ্ট করে দেয়। এর কারণ, আল্ল­াহ তা’আলা কেবলমাত্র তাঁরই উদ্দেশ্যে সম্পাদিত আমল ব্যতীত অন্য কোন আমল কবুল করেন না। যে কাজ আল্ল­াহর সৃষ্টি মানুষের নিকট থেকে শ্রদ্ধা, প্রশংসা বা পদমর্যাদা লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে, সে কাজ মহান স্রষ্টা কর্তৃক গৃহীত হয় না। কারণ, লোক দেখানো কাজ  মূলত মানুষকে  আল্ল­াহ তা’আলার সমপর্যায়ে উন্নীত করারই প্রয়াস।
ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য মহান আল্ল­াহ তা’আলার তা’যীম করা। রিয়া দ্বারা মানুষকে আল্ল­াহ্র তা’যীমের অংশীদার করা হয়। আর রিয়াকে শিরক বলার তাৎপর্য হলো এই যে, এটা দ্বারা মানুষ উদ্দেশ্যহীনভাবে শিরক তথা অংশীদার স্থির করে থাকে। জেনে রাখা উচিত যে, রিয়া এক জাতীয় লুপ্ত বহুদেববাদ। এ জন্য রাসুলুল্ল­াহ সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম রিয়াকে অন্যান্য শিরকের চেয়ে অধিক ভয় করতেন।

১. শেষ বিচার দিবসে যে ব্যক্তির সর্বপ্রথম বিচার করা হবে সে ব্যক্তি হলো, যে আল্ল­াহর পথে শহীদ হয়েছে। অতঃপর  সে ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্ল­াহ তাঁর প্রতি তার সকল অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করবেন এবং বলবেন “তুমি এসব নিয়ামতের পরিবর্তে কি আমল করেছ ? সে বলবে তোমার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেছি, এমনকি আমি শাহাদত বরণ করেছি।”  তখন আল্লাহ বলবেন,  তুমি মিথ্যা বলছ, বরং তুমি যুদ্ধ করেছ, যেন তোমাকে সাহসী বীর যোদ্ধা বলা হয়। অতঃপর তোমাকে সাহসী বীর বলা হয়েছে।” তৎপর তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে শেষ পর্যন্ত জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তারপর যে ব্যক্তি জ্ঞান লাভ করেছে, তা শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন তিলাওয়াত করেছে তাকে আনা হবে। তারপর তার প্রতি আল্ল­াহ্ তা’আলা নিজের নিয়ামতসমুহ প্রকাশ করবেন। সেও তা স্বীকার করবে। তখন (আল্ল­াহ্) বলবেন: “ এর বদলে কি আমল করেছ ?” সে বলবে , “জ্ঞান অর্জন করেছি, তা শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমার উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করেছি।” আল্লাহ তা’আলা বলবেন, “তুমি মিথ্যা বলছ: বরং তুমি বিদ্যা শিখেছ এ উদ্দেশ্যে যেন তোমাকে বিদ্বান বলা হয়। আর কুরআন এ জন্য তিলাওয়াত করেছ যেন তোমাকে ‘ক্বারী’ বলা হয়। অতএব, তোমাকে তাই বলা হয়েছে।”  তারপর তার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে শেষ পর্যন্ত জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
আমদ, নাসায়ী ও মুসলিম আলোচ্য হাদীসখানা আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন।
[ আলোচ্য হাদীস দ্বরা প্রমাণিত হয় যে, কপট ও লোক দেখানো আমলের জন্য শহীদ আলিম,ক্বারী প্রভৃতি লোক শেষ বিচারের দিন নিরাশ হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।

২.নিশ্চয় মহান আল্ল­াহ্ বলেন, আমি তো কোন জ্ঞানী মানুষের কথাই মঞ্জুর করি না; আমি তার উদ্দেশ্য ও কামনাই মঞ্জুর করি। অতঃপর যদি তার অভিলাষ ও কামনা আল্ল­াহ্ যা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন সেই উদ্দেশ্যে হয়; তবে তার উদ্দেশ্যকে আমি আমার  প্রশংসা ও মর্যাদায় রূপান্তরিত করি, যদি সে কথা সে না-ও বলে। হামযাহ সাহমী আলোচ্য হাদীসখানা মুহাজির ইবনে হাবীব (রা)-এর সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন।
[আলোচ্য হাদীস দ্বারা এটা প্রতিয়মান হয় যে, আল­াহর নিকট কোন বাগ্মীর বাক পটুতার বিশেষ কোন মূল্য নেই। রিয়া দ্বারা তাকে প্রভাবিত করা যাবে না।

৩. যখন বান্দা প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করে এবং তা উত্তমরূপে সম্পন্ন করে, আর সে যখন গোপনে নামাজ আদায় করে তখন আল্লাহ্ বলেন, “এটা হলো আমার খাঁটি বান্দা। ইবনে মাজাহ আলোচ্য হাদীসখানা  হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে রেওয়ায়েত করেছেন।
[যার প্রকাশ্য ও গোপন নামাজে কোন পার্থক্য নেই, সে অহংকার থেকে সম্পুর্ণ মুক্ত। অতএব, সে আল­¬াহ্ তা’আলার খাঁটি বান্দা।

৪. কতিপয় ব্যাক্তিকে শেষ বিচার দিবসে জান্নাতের দিকে যাওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হবে। যখন তার নিকটবর্তী হবে তখন তারা এর সুগন্ধ পাবে এবং জান্নাতের দালানগুলো ও এতে আল্লাহ্ এর অধিবাবাসীদের জন্য যা কিছু তৈরী করেছেন, তার প্রতি তাকাবে। তখন ডেকে বলা হবে,  “এদেরকে  ফিরায়ে আনো- তাতে তাদের কোন অংশ নেই।” তখন তারা নিরাশ হয়ে ফিরে আসবে যেমনটি পূর্ববর্তীগণ কখনও ফিরে আসেনি। তারপর এরা বলবে : “হে আমাদের প্রতিপালক, যদি তুমি আমাদেরকে তোমার প্রতিদানের জান্নাত এবং উহাতে তোমার বন্ধুদের জন্য যা তৈরী করে রেখেছ তা দেখানোর পূর্বেই জাহান্নামে প্রবেশ করাতে , তবে আমাদের জন্য তা সহজতর হতো।” আল্লাহ্ বলবেন, “হে পাপীগণ,আমি তোমাদের (শাস্তির) জন্য এটাই নির্ধারণ করেছি। যখন তোমরা নির্জনে থাকতে তখন বড় বড় পাপকাজ করে আমার মোকাবেলা করতে আর যখন তোমরা লোকালয়ে আসতে তখন বিনয়ীর ন্যায় তাদের সাথে সাক্ষাত করতে। তোমরা অন্তরে আমাকে যেরূপ বড় মনে করতে, জনগণকে তার বিপরীত দেখাতে। তোমরা মানুষকে ভয় করতে কিন্তু আমাকে ভয় করতে না, মানুষকে বড় মনে করতে কিন্তু আমাকে বড় মনে করতে না। তোমরা মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নিজেকে পবিত্র রাখতে আর আমার জন্য পবিত্র সাজতে। এ কারণে আমি যে আজ তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বিরত রেখেছি ( এর উদ্দেশ্য) এর দ্বারা তোমাদেরকে শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাব।” আলোচ্য হাদীসখানা তিবরাণী হযরত আলী ইবনে হাতিম (রা:) থেকে রেওয়ায়েত করছেন।
[ আল্ল­াহ্ তা’আলা প্রসঙ্গে কলবে একরূপ ভাব পোষণ করা এবং সমাজে এর বিপরীত দেখানো এটাই হলো রিয়া তথা অহংকার বা ছোট শিরক। এ রিয়া আল্ল­াহর নিকট কিরূপ গৃণ্য এবং রিয়াকারীদেরকে আল্ল­াহ তা’আলা কিভাবে তাদের রিয়ার জন্য সমুচিত শাস্তি দান করবেন, আলোচ্য হাদীসটিতে তারই ইঙ্গিতদেওয়া হয়েছে।

 

 

 

আজকের বাংলা তারিখ

May ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Apr    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page