অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি বাকি বিশ্বের জন্য উদাহরণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ গত দেড় দশকে যে সাফল্য দেখিয়েছে তা অর্জনের জন্য অন্যান্য দেশের চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন-অগ্রগতি করেছে তাতে এই সরকারের ধারাবাহিকতা দেখতে পারাটা চমৎকার হবে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো।
অ্যান্ড্রু গারবারিনো বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে তা অনুকরণীয়। আর বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী গণতন্ত্র বজায় রাখা।
আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বাধীন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বাধীন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে যাতে করে তারা দেশকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারে এবং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
জানুয়ারিতে হতে যাওয়ার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকার বর্তমান সরকারের নীতির বিষয়ে খোঁজ নেয়ার কথাও জানান তিনি। আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন এই কংগ্রেসম্যান।
কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, আমি আশা করি অর্থনীতিতে বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সর্বোপরি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে তার যে ভূমিকা তা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় হবে। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে বলেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অ্যান্ড্রু গারবারিনো ডেমোক্রেট প্রধান নিউইয়র্কের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান। একদিন আগেই বাংলাদেশ ককাসের সদস্য হয়েছেন অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ।
পরেরদিন শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। সভার প্রায় পুরোটা জুড়ে থাকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রসঙ্গ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ধারা বজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসছেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। আগামী নির্বাচনে সামনে রেখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের থেকে আরও বেড়েছে।
এসময় বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে মোরশেদ আলম, সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply