অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ায় অবৈধভাবে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখানে এসএমসির ওরস্যালাইনসহ মোট সাতটি কোম্পানির বিভিন্ন নকল পণ্য তৈরি করা হতো।
রবিবার রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি ফাল্গুনী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বিজি প্রেস ফুড এন্ড বেভারেজ নামে একটি কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী অষ্টম শ্রেণি পাশ মিরাজুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কারখানাটির পরিচালনাকারী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জাহিদ, লিপন গাজী ও মোহাম্মদ সাদেক পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম রিয়াজ বলেন, গোপন সংবাদে আমরা জানতে পারি অনেক দিন ধরেই আশুলিয়ার এই এলাকা থেকে আমাদের এসএমসি কোম্পানির ওরস্যালাইন-এন ও ইনো নকল করে অবৈধভাবে তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হচ্ছে। পরে আজ কোম্পানির পক্ষ থেকে আমরা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে এখানে আসি।
পরে বিজি প্রেস নামে কারখানার সামনে একটি ভ্যানে এসএমসির ওর স্যালাইনের কার্টন বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে বাইরে পাই। পরে ভেতরে প্রবেশ করতেই বিপুল পরিমাণ স্যালাইন তৈরির কাঁচা মাল ও আমাদের কোম্পানির স্যালাইনের নকল মোড়ক দেখতে পাই। শুধু স্যালাইন নয় এখানে গ্যাস্টিকের সমস্যায় সেবনের ইনো ও সরবত প্রস্তুককারী ট্যাংক নকল ভাবে মোড়ক জাত করে মার্কেটে সরবরাহ করতো।
এসময় আমরা স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে তারা আসেন এবং একজনকে আটকসহ মালামাল জব্দ করেন।
তিনি বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই কারখানায় আমাদের কোম্পানির নকল স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছিলো। প্রতিদিন ২০০ কার্টন এই অনুমোদিত স্যালাইন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতো। বিষয়টি আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সবুর বলেন, নকল স্যালাইন ও ইনো তৈরির কারখানার সন্ধানের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী মিরাজ নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply