22 Jan 2025, 10:51 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ইরানের ইসলাম বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল মোহসেন রেজায়ি বলেছেন, ইসরাইল এবং আমেরিকাকে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশ মিলে ঐক্যবদ্ধ ও যৌথ সামরিক বাহিনী গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং আমেরিকা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদেরকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরে আগ্রাসন চালাতে ও দখল করে নিতে উস্কানি দিয়েছে।

গতকাল (রোববার) আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইআরজিসি’র সাবেক প্রধান এবং বর্তমানে ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য মোহসেন রেজায়ি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “গত বুধবার আকস্মিকভাবে বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা ২০২০ সালে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যে হামলা চালিয়েছে সেটি মারাত্মক ধরনের রাজনৈতিক ভুল। আমরা মনে করি আলেপ্পো শহর দখলের বিষয়ে আমেরিকা এবং ইসরাইল উস্কানি দিয়েছে।” তিনি বলেন, এই ঘটনা এমন একটি সময় ঘটানো হয়েছে যখন গাজা ও লেবাননে ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ইসরাইল অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একই সাথে ইসরাইল সিরিয়ার ওপর দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

আল-জাজিরাকে মোহসেন রেজায়ি আরো বলেন, ইসরাইল এবং আমেরিকাকে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশ মিলে ঐক্যবদ্ধ ও যৌথ সামরিক বাহিনী গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন- ফিলিস্তিন, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া,  ইরাক এবং ইরান এই ছয় দেশ আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং তারা লেবাননে যেভাবে পরাজিত হয়েছে সেভাবে আমেরিকা এবং ইসরাইলকে পরাজিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমেরিকা এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমস্ত মুসলিম দেশকে সমর্থনের দিক দিয়ে ইরান হচ্ছে প্রধান দেশ।

ইসরাইল ও আমেরিকাকে মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোর যৌথ সামরিক বাহিনী গঠন অপরিহার্য

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।

আজ রোববার সচিবালয়ে উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের আবেগের জায়গা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সব সময় পাশে ছিল। এজন্য ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করি। ফিলিস্তিন আমাদের জাতীয় ঐক্যের একটি জায়গা। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে আছে। তাদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে আসছে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন সকল আশা ছেড়ে দিয়েছে সেই সময় আপনাদের আগমন। সবাই আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের জনগণ আপনাদের উপর আস্থা রাখতে চায়। বাংলাদেশের সাথে ফিলিস্তিনের দূরত্ব অনেক বেশি হলেও পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের চাইতেও বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনি মানুষের অধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার এজন্য তিনি এ দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় নাহিদ ইসলাম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিন তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করছি কারণ বর্তমান সরকার সফল হলে ফিলিস্তিনের জনগণ শক্তিশালী হবে। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের স্বপ্ন পূরণে সার্থক হউক। রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে ওআইসি কমিটির সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফিলিস্তিনের লড়াই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অনুপ্রেরণা : উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত খবর এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলায় ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে ভারতের পতাকা অেঁকে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর পতাকাকে অবমাননা এবং হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কলকাতার একটি হাসপাতাল। এরপর আরও কয়েকটি ভারতীয় হাসপাতাল বলেছে তারা বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দেবে না।

তবে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির এক চিকিৎসক বলেছেন, তিনি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু এরজন্য ভারতীয় পতাকায় প্রণাম করে তার চেম্বারে প্রবেশ করতে হবে।

শিখর বন্দোপাধ্যায় নামের এই চিকিৎসক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “বাংলাদেশে আমাদের পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমি রোগীদের ফিরিয়ে দিতে চাই না। কিন্তু যারা আমাদের দেশে আসবে তাদের আমাদের পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে।”

পশ্চিমবঙ্গের নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের স্পেশাল মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত এই চিকিৎসক আরও বলেছেন, “আমি যে সরকারি হাসপাতালে কাজ করি সেখানে কোনো রোগীকেই আমি ফেরাতে পারব না। কিন্তু শিলিগুড়িতে আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে আমি জাতীয় পতাকা ঝুলিয়েছি। সেখানে একটি বার্তাও যুক্ত করেছি। যারা আমার মাতৃভূমির পতাকাকে সম্মান জানাবে না তারা আমার কাছ থেকে চিকিৎসাও প্রত্যাশা করতে পারে না।”

পতাকার ওপর থাকা বার্তায় লেখা রয়েছে, ‘ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা আমাদের মাতৃসম। এই পতাকাকে প্রণাম করে চেম্বারে প্রবেশ করবেন। বিশেষত বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীরা প্রণাম না করলে এখানে রোগী দেখা হবে না।’

চন্দ্রনাথ অধিকারী নামের অপর এক চিকিৎসক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, তিনিও যে সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন সেখানে সবাইকে চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে কোনো বাংলাদেশি রোগীকে তিনি দেখবেন না।

ভারতীয় পতাকা প্রণাম করে চিকিৎসা নিতে হবে বাংলাদেশিদের