অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার জন্য বৃহত্তম বিশ্বব্যাপী ছাত্র নেটওয়ার্ক বা জিএসপিএন আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে চালু করা হয়েছিল। এই নেটওয়ার্কে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং বেশ কিছু আরব ও মুসলিম দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
যদিও সারা বিশ্বে ছাত্র আন্দোলনে স্বাধীনতাবাদকে সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর অপরাধযজ্ঞের পর ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পার্সটুডে-এর মতে, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সমর্থনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার মার্কিন শিক্ষার্থী বাইডেন সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে।
রাজনৈতিক ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ আলী শরিফিনিয়া এ প্রসঙ্গে বলেছেন, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘঠিত হয়েছে। তবে আমেরিকাতে মার্কিন শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিক্ষোভ করেছে তা ছিল বৈচিত্রময় এবং সেগুলো সারা বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। এতে বাইডেন প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে কারণ এসব বিক্ষোভের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আমেরিকার নতুন এবং তরুণ প্রজন্ম সেসঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলো ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশেষ করে ওয়াশিংটনের নিপীড়নমূলক নীতিগুলি ভালো চোখে দেখছে না।
গাজায় ইহুদিবাদীদের অপরাধের ধারাবাহিকতা এবং পশ্চিমাদের অব্যাহত সমর্থনের বিরুদ্ধে জোরোলো প্রতিবাদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মার্কিন ছাত্র কর্মী, ছাত্র সংগঠন এবং ফিলিস্তিন সমর্থনকারী ইউনিয়নগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের জন্য গ্লোবাল স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক” প্রতিষ্ঠা এবং চালু করার জন্য তাদের প্রচেষ্টার কথা ঘোষণা দিয়েছে। নেটওয়ার্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে জিএসপিএন আন্দোলনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে কাজ করা উচিত এবং গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের গণহত্যা বন্ধ করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই শাসক গোষ্ঠীর বিনিয়োগ বয়কট করার চেষ্টা করা উচিত।
Leave a Reply