অনলাইন সীমান্তবাণী ডস্কে : রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতির কারণে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে পরাজিত করার আশা করা উচিত নয় এবং ইউক্রেনে ন্যাটোর অব্যাহত সামরিক সহায়তা আত্মহত্যার সামিল হবে।
য়, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, যারা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার নামে জাতিসংঘের সনদ এবং রাশিয়ার ‘বিশেষ পদক্ষেপের’ বিরোধিতা করে তারা ভুলে যায় যে সনদটি সাম্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় এবং ঐচ্ছিকতার নীতিকে সম্মান করতে বলে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে সরকারি পর্যায়ের অভ্যুত্থানের পর রাশিয়ার নাগরিক এবং যারা নিজেদেরকে এর সংস্কৃতির অংশ মনে করে তাদের পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি রাশিয়া এবং সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
তিনি বলেন, রাশিয়াকে পরাজিত করার জন্য ওয়াশিংটন, লন্ডন ও ব্রাসেলস অক্ষের প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘের প্রচষ্টাকে অস্বীকার করা। এই দেশগুলোর এই ধরনের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে রোববার অনুমোদিত একটি ফিউচার চুক্তি যা রাশিয়া সমর্থন করে না। এসব দেশ নিরাপত্তা পরিষদসহ পুরো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করতে চায়। রাশিয়া এই পথ নেয়নি এবং এর বিপজ্জনক পরিণতির দায় নেবে না।
তিনি পশ্চিমের বিরুদ্ধে তারা বিশ্বায়নের যে ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন তা ধ্বংস করার জন্য অভিযুক্ত করেন। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল জোট গঠন করছে এবং ওয়াশিংটনের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে ইউরোপ ও এশিয়াকে এই ‘একক ইউরেশীয় ব্যবস্থায়’ যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ইসরাইলে ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। যাই হোক, ফিলিস্তিনিদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়া এবং গাজায় নজিরবিহীন মানব বিনাশ ডেকে আনাও অবৈধ।
বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড মামুলি হয়ে উঠেছে এবং বাড়ছে, যা দুঃখজনক। নিরাপত্তা সকলের জন্য এবং সমান বা যে কারো জন্যই হতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘেরও নিরপেক্ষভাবে ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য দেশগুলোর ব্যবহৃত সন্ত্রাসী পদ্ধতির তদন্ত করা উচিত যা লেবাননে বেতার ডিভাইসের বিস্ফোরণের মতো কৌশল ব্যবহার করছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘকে যে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাদের কৌশলে পা দেওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে, যে দেশগুলো বিশ্বকে সহযোগিতার পরিবর্তে ধনী ও দরিদ্র, বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ও শক্তিহীনে বিভক্ত করতে চায়।
Leave a Reply