অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশটিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলা বন্ধ হওয়ার পর রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে অবস্থিত দাহিয়ে এলাকার স্কুলগুলো প্রয়োজনীয় মেরামতের পর আবার খুলে দেয়া হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই বৈরুতের দাহিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট থেকে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ শুরু করে হিজবুল্লাহ। সেইসঙ্গে এই এলাকার স্কুলগুলো মেরামতের কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়। এরইমধ্যে বেশিরভাগ স্কুল পাঠদানের উপযোগী করে ফেলা হয়েছে যাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস যথাসময়ে শুরু করা যায়। বলা হয়েছে, বৈরুতের দাহিয়ে এলাকার একটি হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সামির ফাওয়াজ এ সম্পর্কে বলেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলার মোকাবিলায় আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ইহুদিবাদীরা এই এলাকাটিকে যতটা ধ্বংস করেছে আমরা তার চেয়েও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে আমাদের এলাকাকে পুনঃনির্মাণ করব। আমাদের এই দৃঢ় সংকল্প কেড়ে নেয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় এবং আমাদের প্রতিরোধের সামনেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এটি আমাদের দেশ, আমরা এখানে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
ফাওয়াজ আরো বলেন: দাহিয়ে এলাকার কতগুলো স্কুল কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যান আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে নতুন শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিকক্ষে পাঠাতে চাই।
সামির ফাওয়াজ জানান, স্কুলগুলোতে ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষা দেয়া হবে যে, লেবাননের জনগণ তাদের দেশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করার জন্য সাম্প্রতিক যুদ্ধে কী পরিমাণ আত্মত্যাগ করেছে। তাদেরকে ভবিষ্যতে দেশ রক্ষার কাজে প্রস্তুত করা হবে স্কুলগুলোর প্রধান দায়িত্ব।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন চালানোর পর দেশটির সরকার বৈরুত ও এর শহরতলী- দাহিয়ে এলাকার সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধের সময় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পর ইহুদিবাদী ইসরাইল এখন পর্যন্ত বহুবার তা লঙ্ঘন করা সত্ত্বেও বৈরুতসহ দাহিয়ে এলাকার জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
Leave a Reply