অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ সময় চলছে। সেইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মেয়াদে আসায় অঞ্চলটি ঘিরে এখন চরম উত্তেজনা-অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে গতকাল রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার গভীর সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক (ট্রাম্প-নেতানিয়াহু) হতে যাচ্ছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। তার শপথ নেওয়ার আগে গাজায় চলা ১৫ মাসের যুদ্ধের সাময়িক অবসান হয়েছে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে গাজায় যুদ্ধ বিরতি হয়। যদিও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
যদিও ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি গাজায় যুদ্ধ যান চান না। তবে পরবর্তী সময়ে বলেন, গাজায় এই যুদ্ধবিরতি টিকবে কিনা- তার নিয়ে তার সংশয় আছে। সেইসঙ্গে তিনি গাজা পুরোপুরি খালি করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। ট্রাম্প মিশর, জর্ডানসহ আরব দেশগুলোকে আরও ফিলিস্তিনি শরণার্থী নেওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়োজাহাজে ওঠার আগে নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধে তারা যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তারা নিরাপত্তা জোরদার করতে পারবেন। শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত করতে পারবেন। শক্তির মাধ্যমে শান্তির একটি অসামান্য যুগ অর্জন করতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply